স্টাফ রিপোর্টার- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে রবিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, এ নির্বাচন (রাষ্ট্রপতি পদ) নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র আর সংবিধানে আস্থা নেই বলেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আগ্রহ নেই। তারা সংলাপে বিশ্বাস করে না। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই বিএনপি আসুক। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হোক। সেই নির্বাচনে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন রাষ্ট্রপতি। নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে রাষ্ট্রপতি তার যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন’- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কাদের।
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার নাম ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যোগ্য ব্যক্তিকেই নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ।
উল্লেখ্য মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইয়াজউদ্দিনের মতো ‘ইয়েস মার্কা’ রাষ্ট্রপতি আমরা মনোনীত করিনি। স্বাধীনতার স্বপক্ষের যোগ্য ব্যক্তিকেই নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচির নামে আজ সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডারবাহিনী।
তিনি বলেন, হত্যা, ক্যু, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপিই হলো এ দেশের গণতান্ত্রিক বিকাশ ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়। স্বৈরাচারী মতাদর্শের সংগঠন বিএনপি সবসময় হত্যা, খুন, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, রক্তপাত, উগ্রতা, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে লালন-পালন, আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও সন্ত্রাসের ঘটনায় আজ আবারও তাদের সন্ত্রাসী চরিত্রের বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কানাডার আদালতের রায়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিই হলো এদেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থার প্রধান অন্তরায়। বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার জন্য দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। অন্যদিকে সন্ত্রাস ও সহিংতার মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের আলোকে উদ্ভাসিত উদার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি এবং উগ্রতা, জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই। গণতন্ত্রের নামে বিএনপিকে আর ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে নিরীহ মানুষ হত্যার অপরাজনীতির সুযোগ দেওয়া হবে না।