স্টাফ রিপোর্টার- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি খালেদা জিয়া অপসারণ করে তারেক জিয়াকে সে স্থানে বসানোর চেষ্টা করছে। এর দায় একসময় বিএনপিকেই দিতে হবে।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য আদালতের না গিয়ে বিএনপি নেতারাই অমানবিক আচরণ করছে। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও মানবিক কারণে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন বিভিন্ন দাবি নিয়ে ৫৪ দল নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আগের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের জন্য এসে যদি তিন-চার বছর ক্ষমতা দখল করে, তার দায় কে নেবে?
কামরুল ইসলাম বলেন, আদালতের ওপর সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই। হস্তক্ষেপ থাকলে বিএনপি’র সব নেতাকর্মী জেলে থাকতো। সরকার আদালতে প্রভাব বিস্তার করে না।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জনগণকে বিভ্রান্তি করছে বিএনপি। এর থেকে উত্তরণ করতে পারে শেখ হাসিনার সরকার। বিএনপ অহেতুক সরকারের বিরুদ্ধে বাক সন্ত্রাস করে জনগণকে হয়রানি করছে। উসকানিমূলক কথা বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে আপনাদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। দেশের রাজনীতিতে থেকে বিএনপি নামের এই অপশক্তিকে বিতাড়িত করতে না পারলে কখনোই দেশে শান্তি ফিরে আসবে না।
এদিকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।
শনিবার বিকেল সোয়া ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এই শান্তি সমাবেশ শুরু হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশ স্থলে হাজির হন।
এর আগে এদিন দুপুরের পর থেকেই একের পর এক মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এতে সমাবেশ শুরুর আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশ স্থল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এই শান্তি সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।