স্টাফ রিপোর্টার- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো এবারো ভোট করার পাঁয়তারা করছে। তারা রাতে ভোট করে আবারো ক্ষমতায় থাকতে চায়। এদেশের জনগণ সেটি আর হতে দিবে না। গতকাল মিরপুর পল্লবী থানায় বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, সরকার আবারো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে নাই। কিন্তু রাজনৈতিক দলের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। আমরা সংগ্রাম করছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এমন একটি সরকার আমাদের ওপরে চেপে বসেছে।
যে সরকার মানুষের মর্যাদা দিতে জানে না। মানুষের জীবনের মূল্য দিতে জানে না। তারা যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে চায়। নওগাঁর একজন মহিলাকে কি কারণে র্যাব তুলে নিয়ে গেল। তার কারণ এখনো জানা যায়নি। ডিজিটাল আইনের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, এ আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। এই অপপ্রয়োগের ফলে একজন অসহায় নিরাপরাধ নারীকে জীবন দিতে হলো। এর দায় কে নেবে? এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে শুধু মামলা নয়, এই সরকার আরও ৩ জন সম্পাদককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।
সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে নির্যাতন হয়রানি করছে ও আজকে সাংবাদিকদের প্রতি নির্যাতন করা হচ্ছে। আজকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোট দেয়ার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, কোনোটাই নেই দেশে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দশ দফা দিয়েছি। সেখানে বলেছি, এই সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনে যদি বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়। তার মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এর মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করা হবে। কারণ বর্তমান সরকার সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।