Search
Close this search box.

প্রধানমন্ত্রীই নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানিসহ সকল গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে যে সরকার দেশ পরিচালনা করে আসছে, তারাই নির্বাচনকালে সরকারের দায়িত্ব পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করে না।’

শুক্রবার (২১ জুলাই) কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচন হবে আমাদের সংবিধানের আওতায়। নির্বাচনে সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।’

বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি দিচ্ছে, তা শুধু পাকিস্তানে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রশ্ন- তারা শুধু পাকিস্তানকে কেন অনুসরণ-অনুকরণ করে! মির্জা ফখরুল সাহেব কদিন আগেও বলেছেন- পাকিস্তানই ভালো ছিল। তারা পাকিস্তানকে অনুকরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।’

এ সময় বিএনপির আন্দোলন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন বিএনপি হচ্ছে পা ভাঙা বাঘ আর খাঁচায় বন্দী সিংহ। তাদের তর্জন-গর্জনই সার। অন্য কিছু করার সামর্থ্য তাদের নেই। আর তারা যদি দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে, সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে আর আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইইউ প্রতিনিধি দল এসেছে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে। অন্য কারও আমন্ত্রণে নয়। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে এসেছে, তারা কমিশনের সাথে, সরকারি দল, বিরোধী দল -সবার সাথেই বৈঠক করেছে। এবং তাদের এই আসাটা অত্যন্ত ইতিবাচক। কারণ, নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ইইউ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ইইউ তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। এটি খুবই ইতিবাচক।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারিসহ উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের সফর সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের চমৎকার বহুমাত্রিক সম্পর্ক। তারা আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রার সহযোগী এবং কিছুদিন আগে আমরা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। সেই আলোকে এই চমৎকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যেই তাদের এই সফর।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল সেই আশ্রয় ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। যাওয়ার আগে তারা বলেছে, আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে। অর্থাৎ তাদের সফরও আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ়তর করেছে।’

এদিন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ হলে আয়োজিত বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সঞ্চালনায় সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রধান বক্তা, কেন্দ্রীয় সদস্য সফুরা বেগম রুমি, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ