স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নের রোল মডেলেই পরিণত হয়নি, ধর্ম ও সংস্কৃতি সবদিক থেকেই বাংলাদেশ আজকে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর বিজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর বিজয়ী হাফেজগণের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজনের উদ্যোক্তাদের আমি আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আজকে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুধু উন্নয়নের রোল মডেলেই পরিণত হয়নি, ধর্ম, সংস্কৃতি সবদিক থেকেই বাংলাদেশ আজকে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে। আপনারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতে নিয়ে এসেছেন, বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।’
বাংলাদেশে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘শান্তির ধর্ম ইসলামের খেদমতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার কন্যা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিধি বিস্তৃতি করেছেন। বাংলাদেশের ৫৮০টি মসজিদ এবং ইসলামের সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা ইসলামের ইতিহাসে সংস্কৃতি, দর্শন সর্বোপরি ইসলামের প্রচার ও প্রসারে অবদান রাখবে।’
‘প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদরাসার সনদে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। দাওরা হাদিসকে মাস্টার্সের সমমর্যাদা দিয়েছেন। মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছেন। মাদরাসার আইসিটি ল্যাব স্থাপন করেছেন। মাদরাসা অনার্স কোর্স, ব্যাচেলর, মাদরাসা এডুকেশন কোর্স চালুসহ এমপিওভুক্ত মাদরাসার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন। শুধু তাই নয়, স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর চালুসহ হাজারেরও ওপর মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।-যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আলেম-ওলামারা মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনা আমাদের বাংলাদেশে আজকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আলেম-ওলামারাও এখানে তাদের ধর্ম প্রচারের জন্য তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। যখন করোনায় সবকিছু থেমে গিয়েছিল, স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী কিন্তু থামেননি। প্রধানমন্ত্রী তখনো সব নির্দেশনা আমাদেরকে দিতেন, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করেছি এবং এদেশের জনগণ করোনার সময় মনে করেনি যে তারাও থেমে গিয়েছে, তারা কোনো অসুবিধায় পড়েছে। সবার বাড়ি বাড়ি আপনি খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। সেজন্য নেতৃত্বে আপনি বিশ্বে স্থান করে নিয়েছেন।’