বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসানীতি খুশির খবর নয় বরং দেশের জন্য লজ্জার। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্রি.জে. (অব.) আ.স.ম. হান্নাস শাহর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, এসবের জন্য শেখ হাসিনা দায়ী, এই কর্তৃত্ববাদী সরকার যারা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে তাদের কথাবার্তা শোনে মনে হয় এই দেশে শুধু তারাই থাকতে পারবে।
সরকারের লোকজন বলছে, ভিসানীতির ফলে বিএনপি বিপদে আছে। আসলে বিএনপি কোনো বিপদে নেই বরং বিএনপি আন্দোলন করতে গিয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই সরকারকে সরকার বলা যায় না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিলাম শুধু ভুখণ্ড বা ম্যাপ পাওয়ার জন্য নয়, আমরা চেয়েছিলাম একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে আমার কথা বলার অধিকার, বিভিন্ন সংগঠন করার অধিকার থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল এক ছেলের সাথে কথা হলো, সে বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে কিন্তু পরিবার বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে চাকরি হয়নি। বিএপির পরিবারের সাথে নূন্যতম সম্পর্ক থাকলে তার চাকরি-প্রমোশন হয় না। প্রত্যেক মানুষ আজ অসহ্য হয়ে পড়ছে মিথ্যা মামলার জন্য। সরকারের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে তো দেশকে জিম্মি করতে পারে না। এটা দেশের জন্য সুখকর নয়।
বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্রি.জে. (অব.) আ.স.ম. হান্নাস শাহর স্মরণে মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনী থেকে যে নেতা বের হয়ে আসেন তিনি যোগ্যতা দক্ষতা নিয়ে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের রাজনীতীকে ভালোবেসে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সবসময় তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।