প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন এতিম-আলেম-ওলামা মাশায়েখদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এতিম, আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ইফতারপূর্ব ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময় জিয়া পরিবারসহ সবার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলেই প্রথম এতিমদের সঙ্গে ইফতার মাহফিল শুরু হয়। তিনি কমলাপুর মাদরাসায় গিয়ে ইফতার করেছিলেন। কিন্তু আজকে পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা একটি জায়গায় এতিমদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ইফতার আয়োজন করছি। বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুন।
মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের যে অবস্থা তাতে রোজার ইফতারেও স্বস্তি নেই। দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে সরকার। এদেরকে উৎখাত করতে হবে। কোনো জালেমের জুলুম টিকে থাকতে পারেনি। নমরুদ-ফেরাউনও পারেনি। এটা হয়তো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে কিন্তু টিকে থাকতে পারবে না।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল বারী ড্যানি, অমলেন্দু দাস অপু, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক শাহ্ মোহাম্মদ নেসারুল হক, মওলানা মোহাম্মদ সেলিম রেজা, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার, কারি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মওলানা শাহ্ অলিউল্লাহ, মওলানা কামল উদ্দিন জাফরিসহ তেজগাঁও ইসলামি মিশন এতিমখানা ও শান্তিনগর মাদ্রাসার এতিম শিশুরা।