কয়েকবার আলোচনার পরও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এভাবে অস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহ কেন করল, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা ঠেকাতে যৌথ অভিযান চলছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আশা করি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। এটা বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে, গোটা পাহাড় এখানে ইনভলব না। এটা বান্দরবানের রুমা, থানচি এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ আছে, তারা বম নামে একটা উপজাতি…।
তিনি আরও বলেন, এদের সঙ্গে তো আলাপ আলোচনাও কয়েকবার হয়েছে। এর পরে এরা হঠাৎ করে এভাবে অস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহ কেন করল, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পরিস্থিতির আর কোনো অবনতি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের যৌথ অভিযান চলছে। আশা করি পরিস্থিতি কন্ট্রোলে চলে আসবে।
কেএনএফ-এর পেছনে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের ইন্ধন আছে কি না– এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, বাইরের কার সাপোর্ট পাবে? বাইরে এখন… ইউপিডিএফের কথা বললে, চাকমাদের কথা বললে, সন্তু লারমার কথা বললে, এদের এই ক্ষুদ্র অংশকে মদদ দেবে? এটা একটা বিচ্ছিন্ন, কোনো ক্ষোভ, তাদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়েও তারা করতে পারে। এর কারণ জানা যাবে শিগগিরই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিজোরামের সাথে কোনো কানেকশন আছে বলে আমার জানা নেই। যদিও মিজোরামে বম অনেক। এর সাথে এখানে সীমান্ত থেকে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী বা টেরোরিস্ট সংগঠন মদদ দেবে– এটা আমাদের মনে হয় না।
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল কি না– সেই প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে ঘটনা যখন ঘটে গেছে, ওই এলাকা সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা থাকে… যদিও আমি পাহাড়ের সর্বত্র অনেক রাস্তা করেছি। এগুলো বিচ্ছিন্ন এলাকা। এটা এখন তদন্ত হচ্ছে, জোর তদন্ত চলছে, সব বেরিয়ে আসবে।
এর আগে, ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ (এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক) এর আওতায় নির্মিত পাঁচটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেন সেতুমন্ত্রী।