স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যঙ্গ করার প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনবদ্য। স্বাধীন বাংলাদেশেও যে কোনো জাতীয় প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জাতির কণ্ঠস্বর হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, দীর্ঘ তেইশ বছরের মুক্তি সংগ্রাম শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে ‘তুমি কে, আমি কে; রাজাকার রাজাকার’-এর মতো ঘৃণ্য স্লোগান দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতি চরম অবমাননা দেখানো হয়েছে, যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সাবেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি নাগরিক সুবিধা যখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে ঠিক তখনই ’৭১-এর পরাজিত শক্তি ও তাদের উত্তরসূরিদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে পথভ্রষ্ট কতিপয় শিক্ষার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনে এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ স্লোগান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও লাল-সবুজের পতাকাকে অস্বীকার করার শামিল।
শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতারা বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা এ ধরনের দৃষ্টান্তপূর্ণ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক উচ্চারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এইসব আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের এই স্বাধীন দেশে কোনো ধরনের অধিকার থাকতে পারে না। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে সকল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিদের ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখে অতি শিগগিরই ক্লাস পরীক্ষায় মনোযোগ দিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে সমুন্নত রাখুন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে রয়েছেন-সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, খলিলুর রহমান মোহন, নুরুল ইসলাম সুজন (যুগ্ম-আহবায়ক), গোলাম মোস্তফা সুজন, বাহাদুর বেপারী, সাজ্জাদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শেখ সোহেল রানা টিপু, মেহেদি হাসান মোল্লা, আবিদ আল হাসান, আতাউর রহমান ডিউক, অসীম কুমার উকিল (যুগ্ম-আহবায়ক), মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, কামরুজ্জামান আনসারী, পংকজ দেবনাথ, একেএম আজিম, হেমায়েত উদ্দিন খান হিমু, সাজ্জাদ সাকীব বাদশা, ওমর শরীফ, মোতাহার হোসেন প্রিন্স।