স্টাফ রিপোর্টার: পদত্যাগী নির্বাচন কমিশনের বিচার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই , বিগত বাংলাদেশ কেমন ছিলো এর উপর নির্ভর করবে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে?
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদত্যাগী নির্বাচন কমিনকে বিচার করতে হবে। আমি বলেছি অবৈধ নির্বাচনের হোতা নুরুল হুদা কমিশনের বিচার করতে না পারলেও তার কবরে ঝাড়ু ঝুলিয়ে বিচার করা হবে। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আয়োজনে “আগামীর বাংলাদেশ- যুব সমাজের প্রত্যাশা”-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন: গণতন্ত্রের বিষয়ে শেখ হাসিনা যত কথা বলেছে তার চেয়ে ভালো কথা তেমন কেউ বলেনি। এখানে মূল কথা হচ্ছে নীতি ও আদর্শ। সুপ্রিমকোর্টের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সরকার পরিবর্তনের পরে পদত্যাগ করাকে আপনি কি ভাববেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ দায়িত্বশীলরা পদত্যাগ করাকে কি বলা যাবে। অতীতের বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপিকে যদি ক্ষমতায় আনা হয় তবে আর নতুন বাংলাদেশ কেমন হবে? ৫ আগষ্টের পরে যে চাঁদাবাজ, দখলদারিত্ব চালিয়েছে তাদেরকে ক্ষমতায় আনলে কি হবে। দেশের সর্বোত্র দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্ণর এর ভাষ্য অনুযায়ী এমন অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা আর হয়নি। ইসালাম আসলে সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নীচের থেকে উপরের পর্যায়ে মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা থাকবে।
তিনি আরও বলেন: গরীব দেশের ডিসি, এসপির পেছনে যে অর্থ ব্যায় হয়, তাতে তারা মনে করে দেশ গরীব নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে গেছি। বাজেটের বৃহৎ অর্থ যায় রাস্ট্রের কর্মচারীদের বেতন ভাতার পেছনে। বাজেটের অর্থ জনগনের কল্যানে কম অর্থ ব্যায় হয়। আদর্শ ও নীতি অনুযায়ী আমরা চললে বাংলাদেশ হবে শ্রেষ্ঠ দেশ। আমার দেশের মেধাবীদের মর্যাদা দেয়া হয় না। ক্যামব্রিজ ও অক্সফোর্ড এ বাংলাদেশের ছেলেরা ভালো রেজাল্ট করে। আজকের মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি, জুলুম অত্যাচার হোক তা আমি চাই না। আওয়ামীলীগ করার কারণে নিরপরাধ কারো নামে মিথ্যা মামলা হোক তা চাই না। সাধারণ জনগণের চেয়ে সরকারী কর্মচারীরা কোন ভাবে অতিরিক্ত কিছু পেতে পারবে না। বিধবা, মিসকিন এতিমদের কোন টাকার অপচয় হোক এটা আমরা চাইনা। পিআর সিস্টেম এ নির্বাচন করলে ভালো কিছু মানুষ রাস্ট্র পরিচালনায় আসতে পারবে। যারা চুরি করেছে তাদেরকে রাস্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।
ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোঃ নেছার উদ্দীন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন,মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজনৈতিক বিশ্লষক ড.ফায়জুল হক, অর্থনীতির গবেষক আবদুল্লাহ মাসুদ, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব শাহ ইফতেখার আহসান তারেক, বিকল্প যুব ধারা সভাপতি আসাদুজ্জামান বাচ্চু, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম আবরার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী, ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাইমেন ফারুকীসহ অনেকে।