স্টাফ রিপোর্টার: সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিপ্লবোত্তর যুব ভাবনা শীর্ষক যুব সমাবেশের আয়োজন করে এবি যুবপার্টি।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদীউজ্জামান(খোকন) এর সঞ্চালনায় ও আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এবিপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার যুবায়ের আহমেদ ভুইয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এবিপার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল।
প্রধান অতিথি বলেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদের দুঃশ্বাসন থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছেন। এর কৃতিত্ব এদেশের ছাত্র যুব সমাজের পাশাপাশি নেপথ্যে থেকে এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা রাজনৈতিক নবীন নেতৃবৃন্দের। তিনি বলেন, এবি পার্টি সাম্য ও অধিকারের যে রাজনীতি শুরু করেছে তা এই নব বিপ্লবের সামর্থক যুগপৎ আন্দোলন। তাই এই বিপ্লবকে সুসংহত করতে তিনি দেশের যুব সমাজকে এবি যুব পার্টির সাথে সম্পৃক্ত হতে আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্যই এবিপার্টির জন্ম হয়েছে । আমরা বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল নয় বরং স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে প্রমাণ করবো। তিনি দেশের যুব সমাজকে যুবপার্টির পতাকাতলে এসে দেশ গঠনে ভুমিকা পালনের আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস প্রমাণ করে যুগে যুগে ইতিহাস বদলে দেয় তরুণরা। বৃটিশ বেনিয়া থেকে ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন; সর্বত্রই যুবশক্তি অপরিহার্য। এর সর্বশেষ উদাহরণ হলো ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণবিপ্লব। তিনি বলেন এখন সময় এসেছে বিপ্লবোত্তর দেশ গঠনে জন্য গঠনমূলক টেকসই রাজনীতির। যুবপার্টি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দেশে সচেতন মেধাবী ত্যাগী যুব সমাজকে বিপ্লবোত্তর স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দেয়ার আহবান জানান।
আরও পড়ুন: সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি: আমীর খসরু
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এবিযুবপার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক ইঞ্জিঃ কৌশিক আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মাহমুদ আজাদ, যুবনেতা নাসির উদ্দিন গালিব, মাসুদুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, ইমরান হোসেন শিবলু, মিরাজুল ইসলাম শান্ত, আফরোজ জাহান, ইসরাতসহ মহানগর ও থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ।