সিলেট প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সদ্য বিদায়ী সরকারের সদস্যরা বুঝতে পেরেছিলেন যে, তারা জাতির বিরুদ্ধে এমন অপরাধ করেছেন, যার জন্য তাদের দেশে থাকার অধিকার নেই। এ কারণে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি তারা আইনের শাসনে বিশ্বাসী হতেন, তাহলে দেশে থেকে যেতেন।
শুক্রবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং বৈষম্য চলছে। যা আর চলতে দেওয়া যাবে না। আমাদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব শুধুমাত্র ছাত্র-জনতার। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। ৫ আগস্টের পর দেশে একটি সাময়িক পরিবর্তন এসেছে; কিন্তু একে স্থায়ী রূপ দিতে সৎলোকের শাসন এবং আল্লাহর আইন প্রয়োজন।
তিনি সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু ভেদাভেদ না চেয়ে এমন সমাজ গঠনের আহ্বান জানান যেখানে মসজিদের মতো মন্দিরেও নিরাপত্তার প্রয়োজন হবে না।
জামায়াতের আমির বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার তাণ্ডবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমাদের ছাত্র ও যুবসমাজ সেই পথ ফিরিয়ে এনেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে। আমাদের শীর্ষ নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।