স্টাফ রিপোর্টার: থানা পর্যায়ে কমিটি করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা আজ শনিবার (২ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।
জাতীয় নাগরিক কমিটির থানা পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
⚫ জাতীয় নাগরিক কমিটির সকল থানা পর্যায়ের কমিটি ‘প্রতিনিধি কমিটি’ হিসেবে পরিচিতি পাবে।
⚫ প্রতিনিধি কমিটির সকলে থানা প্রতিনিধি নামে পরিচিতি পাবে।
⚫ প্রতিটি প্রতিনিধি কমিটি গঠনের ৬০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে।
⚫ জেলা পর্যায়ের থানা কমিটির সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যা হবে ২১ জন এবং মহানগরের থানা কমিটি সর্বনিম্ন ৩১ জন হবে।
⚫ সকল কমিটিতে সর্বনিম্ন ২৫ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ শহীদ পরিবার বা আহত অভ্যুত্থানকারী, ৫ শতাংশ সংখ্যালঘু, ৫ শতাংশ কৃষক, শ্রমিক শ্ৰেণি এবং এলাকাভিত্তিক সকল জাতিসত্ত্বার প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে। প্রতিনিধি কমিটি হতে আহ্বায়ক কমিটিতে রূপান্তরিত হতে হলে সকল ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হবে।
⚫ সর্বোপরি শিক্ষক, আইনজীবী, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, গৃহিণী ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে তরুণ (বয়স অনূর্ধ্ব ৫০) নেতৃত্বের সমন্বয় করতে হবে।
⚫ পঞ্চাশোর্ধ সম্মানিত নাগরিকগণ একটি পরামর্শক কমিটির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাথে কাজ করবেন।
⚫ থানা পর্যায়ের কমিটিতে থাকার ক্ষেত্রে উক্ত থানার বাসিন্দা হতে হবে।
⚫ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কোন অংশীজন বা সুবিধাভোগী কমিটিতে থাকতে পারবে না। অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করতে হবে।
ছাত্ররা নাগরিক কমিটির মাধ্যমে রাজনৈতিক দল করবে কি না এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ও গুঞ্জন রয়েছে। তবে সংগঠনটি বলেছ, ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের চলমান লড়াই সফল করতে চায় তারা। এ লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে গত ৮ সেপ্টেম্বর নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে আত্মপ্রকাশ করেছে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি।