ধর্ম ডেস্ক: মুত্তাকি হওয়ার পূর্বশর্ত হলো অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত রাখা। সাধারণত মানুষ হাসি-আনন্দে মেতে থাকতে পছন্দ করে। দুঃখ বা কান্না কেউ পছন্দ করেন না। তবে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ রাখতে হবে। কেননা সবাইকে আল্লাহর সামনে একদিন হিসাব দিতে হবে। এ থেকে কেউ পার পাবে না। আর হিসাব দিতে না পারলে ভয়াবহ পরিণতি হবে। এজন্য আল্লাহ তায়ালা কম হাসা এবং বেশি বেশি কান্না করার কথা বলেছেন।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ কোরআনে বলেন, অতএব তারা অল্প হাসুক, আর বেশি কাঁদুক, তারা যা অর্জন করেছে তার বিনিময়ে। (সূরা আত-তওবা, আয়াত : ৮২)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর ভয়ে কান্না করা ব্যক্তির জাহান্নামে যাওয়া অসম্ভব। যেমন দহন করা দুধের পুনরায় ওলানে ফিরে যাওয়া অসম্ভব। আর আল্লাহর পথের ধুলা ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনো একত্র হবে না। (তিরমিজি, হাদিসে : ১৬৩৩)
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, জাহান্নামের আগুন দুটি চোখ স্পর্শ করবে না। এক. যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে এবং দুই. যে চোখ আল্লাহর রাস্তা পাহারা দিয়ে নির্ঘুম রাত কাটায়। (তিরমিজি, হাদিস: ১৬৩৯)
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (সা.) বলেন, দুটি (পানির) ফোঁটা ও দুটি (জখমের) দাগের চেয়ে বেশি পছন্দের বস্তু আল্লাহর কাছে নেই। এক. আল্লাহর ভয়ে নিঃসৃত চোখের পানি এবং দুই. আল্লাহর পথে নির্গত রক্তের ফোঁটা। (তিরমিজি: ১৬৬৯)
আল্লাহর ভয়ে চোখের পানি ফেলা ব্যক্তির বিষয়ে হাদিসে আরও বলা হয়েছে, তারা সেদিন আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া পাবে, যেদিন অন্য কোনো ছায়া থাকবে না। সাত শ্রেণির একটি শ্রেণি হলো, ‘যারা নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাদের দুই চোখে অশ্রু ঝরতে থাকে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৬০; মুসলিম, হাদিস : ৭১১)