Search
Close this search box.

সাকিবের হাত ধরে এবারও কী ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্টে জয় মিলবে?

সাকিবের হাত ধরে এবারও কী ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্টে জয় মিলবে?
মিথুন আশরাফ : 

ওয়েস্ট ইন্ডিজে এখন পর্যন্ত চারবার সফর করে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে। একবারই টেস্ট সিরিজ জিততে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতেছে। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের হাত ধরেই, তার নেতৃত্বেই সেই টেস্ট সিরিজ জয় এসেছে। এবারও কী তাহলে সাকিবের নেতৃত্বে আবারও টেস্ট জয় মিলবে বাংলাদেশের?

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্টে হারিয়ে প্রথমবার বিদেশের মাটিতে টেস্ট ও সিরিজ জয় করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ২০০৯ সালের সিরিজে সাকিবের কাঁধে কাকতালীয়ভাবেই অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব পড়েছিল।  মাশরাফি বিন মর্তুজা ইনজুরিতে পড়াতে সাকিব অধিনায়কত্ব করেন। এবার যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ, তখনও অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই সাকিবের কাছে অধিনায়কত্ব গেছে। এবার মুমিনুল হক টেস্ট নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ায় দল ঘোষনার কয়েকদিন পর সাকিবের হাতে নেতৃত্ব মিলে। ২০০৯ সালের সাথে অনেকটাই মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে কী এবারও কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে? বাংলাদেশ টেস্ট জয় নিয়েই দেশে ফিরতে পারবে?

আর ২দিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬ জুন অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সাকিবের নেতৃত্বে এই টেস্ট খেলার পর ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে। এই টেস্ট সিরিজ নিয়ে এরইমধ্যে ক্রিকেটারদের মধ্যেও আশার আলো দেখা গেছে। একেতো সাকিব খেলবেন। আবার তিনিই অধিনায়ক। আর তাই তো দলের তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় বলেছেন, ‘সাকিব ভাই যেখানে আছে, সেখানে কীভাবে কী! সাকিব ভাই বাংলাদেশকে অনেক দিন নেতৃত্ব দিয়েছেন, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, বর্তমানে আমাদের দলের যে পজিশন, তাতে আমি মনে করি সাকিব ভাই সেরা। সবারই প্রত্যাশা থাকে আমাদের ওপর যেন আমরা ভালো করি। আমাদের চেষ্টা থাকবে সিরিজ ড্র করার বা জেতার।’

সাকিবের হাত ধরে এবারও কী ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্টে জয় মিলবে?
২০০৯ সালে সিরিজ সেরা সাকিবের হাত ধরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও সিরিজ জয় আসে

স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজও যেমন বলেছেন, ‘আপনারা দলের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করেন, সাকিব ভাই-ই সেরা। তিনটা ফরমেট আছে। শেষবার টেস্টে আমরা ও রকম ভালো করতে পারিনি, এবার আমরা চেষ্টা করব, যেহেতু সাকিব ভাই আছে, উনি ভালো পারফর্ম করছেন। আমাদের ব্যাটারদের যে “ব্যাড প্যাচ” চলছে, আশা করি দ্রুতই সেটা কাটিয়ে উঠবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো সেই টেস্ট সিরিজে সাকিব শুধু ভালো নেতৃত্বই দেননি, নিজেও ব্যাট-বল হাতে দেখিয়েছিলেন ঝলক। দুই টেস্ট মিলিয়ে ১৫৯ রান ও ১৩ উইকেট শিকার করেন। সিরিজ সেরাও হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম টেস্টে ৯৫ ও দ্বিতীয় টেস্টে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ।

ক্যারিবিয় দীপপুঞ্জে গিয়ে ৮ টেস্ট খেলে দুটি টেস্টেই জয় মিলেছে। প্রতিবার দুই ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সাবেক দুই অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন (২০০৪ সালে অধিনায়ক) ও মুশফিকুর রহিম (২০১৪ সালে অধিনায়ক) অধিনায়ক হয়ে যা করে দেখাতে পারেননি, সাকিব তা পেরেছেন। ২০১৮ সালে সাকিবের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অনেক বাজে সময় গেছে। তবে এবার যেভাবে আবার সাকিবের হাতে নেতৃত্ব গেছে, তাতে আশা দেখা হচ্ছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১৬ জুন থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে টেস্ট সিরিজ, এরপর টি২০ সিরিজ হবে। শেষে ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ জুন অ্যান্টিগায় প্রথম ও ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে। এরপর ২ জুন ডমিনিকায় প্রথম, পরের দিন ৩ জুলাই একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ও গায়ানায় ৭ জুলাই তৃতীয় ও শেষ টি২০ হবে। শেষে গায়ানায় যথাক্রমে ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ