স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। এরপরই বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টা থেকে শুরু হয়ে যাবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্ট। এই টেস্ট দিয়েই দুই দলের মধ্যকার দুই টেস্ট, তিন টি২০ ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ শুরু হবে। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি ভালো শুরু চান। টেস্টে যে বাংলাদেশের অবস্থা খুব ভালো নয়, ভালো খেলে সবাইকে ভুল প্রমান করতে চান সাকিব।
সাকিব বলেছেন, ‘আমরা দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশি ভাবছি। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ভালো করতে পারিনি। সবাইকে ভুল প্রমাণের একটা সুযোগ এই সিরিজ। এই ম্যাচে ভালো করে এখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আমাদের সামনে। পুরো সফরটা ভালো করার জন্য আমার মনে হয় টেস্টে ভালো শুরু খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে চারবছর আগে বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্টে সবচেয়ে নিচে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জ্বা এই স্টেডিয়ামেই। আজ খেলাও শুরু এই স্টেডিয়ামেই। এখানের বাতাসই যত ঝামেলা। উইকেট বুঝতেই যত সমস্যা। তবে সাকিব মনে করছেন, এবার উইকেট ভিন্ন।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
পড়ুন : অ্যান্টিগার বাতাসেই যত ভয় সাকিবদের!
সাকিব বলেছেন, ‘চার বছর আগে ভিন্ন উইকেট ছিল। এই উইকেট দেখে আমার কাছে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো মনে হয়েছে। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং কঠিন হতে পারে। আমার মনে হয়, ম্যাচের শেষ দিকে স্পিনারদের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকবে। তবে প্রথম ইনিংসে আমরা কতটা ভালো ব্যাটিং করতে পারি সেটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমাদের সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমার মনে হয়, ছেলেরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’
সফরে নেই মুশফিকুর রহিম। ইনজুরিতে পড়ে ইয়াসির আলী রাব্বির সিরিজ খেলা শেষ। তার স্থানে এনামুল হক বিজয়কে দলে নেওয়া হয়েছে। নেই পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামও। কোন প্রভাব পড়বে? সাকিব মনে করছেন, ‘আমরা এখন প্রচুর ক্রিকেট খেলছি, তিন সংস্করণ মিলিয়েই। এতে ছেলেরা চোটেও পড়ছে। তবে এটা নতুন ছেলেদের ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিচ্ছে। আশা করি, দেড়-দুই বছরের মধ্যে আমরা সুফল দেখতে পাব। তখন আমরা ২৫-৩০ জন থেকে দল গঠন করতে পারব।’
সাকিব আরও বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো হবে। হতে পারে এখন খুব একটা বড় স্কোয়াড ছাড়াই আমরা অনেক ম্যাচ খেলছি। তবে আমি মনে করি, দুই বছর পর এই ব্যাপারটাই আমাদের সহায়তা করবে। চোটের জন্য অনেক নতুন খেলোয়াড় সুযোগ পাচ্ছে। ওরা যখন পারফরম করা শুরু করবে তখন দলের মধ্যে একটা স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা শুরু হবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সবসময়ই যেতে চান বলে জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমার হৃদয়ের খুব কাছে। ২০০৭ সালে প্রথম এখানে এসেছিলাম, বিশ্বকাপে খেলতে। এই স্মৃতি সারাজীবনই আমার মনে থাকবে। আমি সব সময় এখানে খেলতে ভালোবাসি। বাংলাদেশ যতবার এখানে খেলতে আসবে, আমিও আসতে চাই। ক্যারিবিয়ানদের আমি ভালোবাসি।’