Search
Close this search box.

ব্যাটিংয়ে শুরুর আক্ষেপে পুড়ছেন সাকিবও!

ব্যাটিংয়ে শুরুর আক্ষেপে পুড়ছেন সাকিবও!

স্পোর্টস রিপোর্টার : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই ব্যাটিংয়ে শুরুটা যাচ্ছে তাই হয়েছে। তাতে করে সোয়া তিনদিনও গড়ায়নি খেলা। এরআগেই ৭ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এই শুরুটা নিয়েই আসলে যত আক্ষেপ থাকছে। টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও এই আক্ষেপেই পুড়ছেন!

অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করেছেন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব (৫১ ও ৬৩ রান)। দ্বিতীয় ইনিংসে নুরুল হাসান সোহানও (৬৪) বিপদের সময় উইকেট আকড়ে থেকে করেছেন হাফসেঞ্চুরি। দলের বাকি ব্যাটাররা ছিলেন নীরব। শুধু তাই নয়, শুরুতেই যত গন্ডগোল লেগে আছে।

প্রথম ইনিংসে প্রথম সেশন শেষ না হতেই ৬ উইকেট খতম। শেষে ১০৩ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতেই ৭৫ রান করতেই নেই ৪ উইকেট। ১০৯ রানে পড়ে যায় ৬ উইকেট। এরপর সাকিব ও সোহান মিলে দলকে ২৩২ রানে নিয়ে যেতে পারেন। এমন সময়ে সাকিব আউট হওয়ার পর আর বেশিদুর এগিয়ে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিববাহিনী। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রান করায় ৮৪ রানের বেশি টার্গেট দেওয়া যায়নি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ শেষে ৭ উইকেটে ব্যবধানে হারে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়া যায়নি।

শুরুতে তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, লিটন কুমার দাসের মতো ব্যাটার থাকতেও এমন বেহাল দশা হয়েছে বাংলাদেশের। মুমিনুল তো দিনের পর দিন হতাশ করছেন। শান্তকে দিয়েও আসলে ভালো কিছু মিলছেনা। তাতে করে বাংলাদেশ বারবার শুরুতেই বিপদে পড়ে যাচ্ছে। সেই বিপদ থেকে আর নিজেদের রক্ষা করা যাচ্ছে না। দলও হারছে।

টেস্ট অধিনায়ক সাকিবের কণ্ঠেও এ নিয়ে আক্ষেপ দেখা গেছে। সাকিব বলেছেন, ‘ব্যাটিং ভালো করতে হবে। উইকেট কঠিন ছিল, তবে আমরা নিজেদের সামর্থ্যের আরও ভালো প্রয়োগ করতে পারতাম। ৬ উইকেট না হারিয়ে (প্রথম দিন) লাঞ্চে না যাওয়াটাই আদর্শ হতো। শেষ তিন দিনে উইকেট বেশ ভালো ছিল। তবে ওই এক সেশনই আসলে আমাদের শেষ করে দিয়েছে, এরপর ম্যাচে সব সময়ই আমরা পিছিয়ে ছিলাম।’

‘আমরা নিয়মিতই এমন করছি, সর্বশেষ যে চার-পাঁচটা ম্যাচ খেলেছি। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাটসম্যানদের রান করার উপায় বের করতে হবে। উইকেটে থাকতে হবে। এভাবে আপনি টিকে থাকবেন, এরপর বোলাররা আপনাদের ম্যাচ জেতাবে। সমীকরণটা আসলে সরলই। এ সমীকরণ নিয়েই কাজ করতে হবে।’

প্রয়োজনের সময় সোহানের ইনিংসকে সামনে তুলে ধরে সাকিব জানান, ‘নুরুলের ইনিংস থেকে অনেক শেখার আছে। সে চাপে ছিল, আমিও ছিলাম। তবে যেভাবে খেলেছে, তাতে ওর সামর্থ্যের পরিচয় পাওয়া যায়। আমার মনে হয়, অন্য ব্যাটসম্যানরা ওর মতো চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে। এইভাবে এগিয়ে এসে ভালো খেলতে পারবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ