স্পোর্টস রিপোর্টার : অ্যান্টিগা টেস্টে হারের পর সেন্ট লুসিয়া টেস্টেও হারের পথে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ ধুকছে। ২২ বছরেও টেস্ট ক্রিকেটে একই অবস্থা। কবে হবে উন্নতি? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘এখনও অনেক পথ যেতে হবে টেস্টে।’
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠান করে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিটিন (সিসিডিএম)। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগসহ অন্যান্য লিগের জমে থাকা বেশ কয়েক বছরের ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের সামনে বিসিবি প্রধান পাপন বলেছেন, ‘আমাদের সবচেয়ে দুর্বল দিক এখনও টেস্ট। সত্যি বলতে, টি২০তেও আমরা আহামরি কোনো দল নই। তবে অনেক দেশ, যারা এখন অনেক অনেক ভালো করছে টেস্টে, তাদের ইতিহাস যদি দেখেন, ২০-২২ বছরে তাদের পারফরম্যান্সও ভালো ছিল না। আমাকে যদি ২২ বছরের কথা বলেন, আমরা দেশের মাটিতে জেতা শুরু করেছি। তার মানে সবগুলি যে জিতে যাব, তা নয়। আমরা কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছি দেশের মাঠে, শক্তিশালি দলের সঙ্গে। এটা একটা উন্নতি। বিদেশে গিয়েও যে আমরা জিততে পারি, সেটার একটা আভাস পেয়েছি। কিন্তু তাই বলে আপনারা যদি মনে করেন, অলরেডি আমরা ভালো দল হয়ে গেছি, প্রশ্নই আসে না। আমার মনে পড়ে, ভারতের প্রথম টেস্ট জিততে লেগেছিল ২৬ বছর। ফলে এত অস্থির হলে চলবে না। এখনও অনেক পথ যেতে হবে টেস্টে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
পাপন বলেন, ‘আমাদের দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেল, আমরা অবশ্যই চাইব আমাদের দল জিতুক। কিন্তু আমরা যদি মনে করি ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে দল হেরে গেলে দলের খুব খারাপ অবস্থা, এটায় কিন্তু আমি একমত নই। সারাজীবন তো হেরেই আসছি! বরং প্রথম টেস্টের কথা যদি বলি, শেষবার যখন গিয়েছি ২০১৮-তে, তার চেয়ে এবারের পারফরম্যান্স ভালো। অবশ্যই এটা আমার কাছে একটা উন্নতি।’
বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের কথা তুলে ধরে বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড, তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ৮ সিরিজে ২টা জিতেছে, দুটা জিতে ড্র করেছে। ওরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েও তো পারছে না। তাই বলে কি খারাপ হয়ে গেছে। এতো হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
‘আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। টানা খেলার মধ্যে আপনি টেস্ট সংস্কৃতি কীভাবে তৈরি করবেন। আপনি বলবেন ঘরোয়া ক্রিকেট। কিন্তু টানা ট্যুর করে কোন ছেলেটা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে? আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুযোগই তো নেই। তাহলে আপনি উন্নতিটা করবেন কীভাবে? একমাত্র অপশন হচ্ছে, নতুন একটা সেটআপ তৈরি করা। যেটা আসলে এর আগে আমরা চিন্তা করিনি, এখন চিন্তা করছি। আলাদা একটা সেটআপ থাকবে, যারা এই জাতীয় দলের কোনও খেলা খেলবেন না। তারা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে দেশে এবং দেশের বাইরে।’