স্পোর্টস রিপোর্টার : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেটে হারে সাকিববাহিনী। দুই টেস্টেই ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এমন বেহাল দশা হয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর নিজেদের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে শততম টেস্ট হারও হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
সেই ২০০০ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। ২২ বছরে ১৩৪ টেস্ট খেলে ১০০টিতেই হার হয়ে গেছে। টেস্ট ক্রিকেটটাই যেন খেলতে পারে না বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কোনভাবেই খেলোয়াড়দের দোষ দিতে রাজি নন। বাংলাদেশে টেস্ট সংস্কৃতিটাকেই দায়ী করেছেন সাকিব।
‘টেস্টের সংস্কৃতিটাই আমাদের দেশে ছিল না কখনো’
টেস্ট সিরিজ শেষে সাকিব বলেছেন, ‘এখানে খেলোয়াড়দের খুব বেশি দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দিলে হবে না। আমাদের দেশের সিস্টেমটাই এমন। আপনি কবে দেখছেন বাংলাদেশে ৩০ হাজার দর্শক টেস্ট ম্যাচ দেখছে বা ২৫ হাজার দর্শক মাঠে এসেছে টেস্ট দেখতে? ইংল্যান্ডে তো প্রতি ম্যাচে (টেস্ট) এমন দর্শক থাকে। টেস্টের সংস্কৃতিটাই আমাদের দেশে ছিল না কখনো, এখনো নেই।’
‘টেস্ট সংস্কৃতি নেই বলে যে হবে না, সেটা না। এই জিনিসটা পরিবর্তন করা আমাদের বড় দায়িত্ব। সবাই মিলে যদি পরিকল্পনা করে আগানো যায়, হয়তো অনেক কিছু সম্ভব হবে। নইলে আসলে খুব বেশি দূর আগানো সম্ভব হবে না। আমরা যে টেস্ট ক্রিকেটকে খুব বেশি মূল্যায়ন করি, সেটিও কিন্তু নয়। হ্যা, হতে পারে আমরা ফলাফল ভালো করিনি, এ জন্য মূল্যায়ন করাও হয়নি। তবে একটার সঙ্গে আরেকটার সম্পর্ক আছে। একটার সঙ্গে আরেকটাকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলেই ভালো কিছু সম্ভব হবে।’
সাকিবের আশা, ‘আরও পাঁচ মাস পর ঘরে খেলব। সেখানে সব দিক নিয়ে নজর দিয়ে উন্নতির সুযোগ পাব, আশা করছি তখন পারফরম্যান্স ভাল হবে। আমরা এই টেস্টের পরে ঘরের মাঠে লম্বা সময় পর খেলব। সেখানে আমরা ভুল ত্রুটি শুধরে ফিরতে চাই। আমি ব্যাটিং নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমাদের মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। সেরকম হতে পারলে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ দল হতে পারব। আমি বিশ্বাস করি সব বড় দলের বিপক্ষে আমাদের লড়াই করার সামর্থ্য আছে।’