Search
Close this search box.

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েই ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ?

নেদারল্যান্ডসকে আজ হারিয়েই ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ?

মিথুন আশরাফ – টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ আছে আজ। সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। ম্যাচটি জিতলেই ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব বা প্রথম রাউন্ড অতিক্রম হওয়ার পরের রাউন্ডে প্রথমবারের মতো জিতবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় শুরু হবে। তাহলে কী নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েই আজ ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ?

ইতিহাস গড়ে ফেলার সম্ভাবনাই বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোন দল জিততে পারে। দিনটি যে কারো হতে পারে। তবে দুই দলের পার্থক্যে বাংলাদেশই ম্যাচটিতে ফেভারিট। তবে নেদারল্যান্ডসকেও একেবারে দুর্বল ভাবার কোন কারণ নেই। প্রথম রাউন্ড থেকে গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে সুপার টুয়েলভে খেলছে নেদারল্যান্ডস। যে নামিবিয়া দলটি প্রথম রাউন্ডে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়ে অঘটন ঘটিয়েছে। চমক দেখিয়েছে। সেই নামিবিয়াকে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের ইতিহাসও খুব খারাপ নয়। তিন ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছেও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য দুই দলের মধ্যকার এরআগে একবারই দেখা হয়েছে। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশই জিতে। তবে জয়টি খুব আয়েশি হয়নি। কষ্ট করেই জিততে হয়েছে। ৮ রানে জিতে বাংলাদেশ। এবার কী হবে?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ চলছে। সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডস ছাড়াও বাংলাদেশের আরও চার প্রতিপক্ষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব বা প্রথম রাউন্ডের পর কোন ম্যাচে জেতার আশা এবার আছে। সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের পাঁচ প্রতিপক্ষের দুটি হচ্ছে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় সম্ভব না হলেও নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারবে বাংলাদেশ, সেই আশা সবারই আছে। তাতে করে বাংলাদেশ যে এবার প্রথমবারের মতো প্রথম রাউন্ডের পরের রাউন্ডে জয়ের ইতিহাস গড়বে, সেই প্রত্যাশাও থাকছে। আজ প্রথম ম্যাচেই সেই আশা পূরণ হয়ে যেতে পারে।
সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটির পর ২৭ অক্টোবর সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ৩০ অক্টোবর ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে, ২ নভেম্বর অ্যাডিলেডে ভারত ও ৬ নভেম্বর একই ভেন্যুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করবে বাংলাদেশ। এই ৫ ম্যাচের মধ্যে যে কোন এক দলের বিপক্ষে জিতলেই ইতিহাস গড়া হয়ে যাবে। তবে প্রথম ম্যাচেই তা হয়ে যাবে, সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কখনোই প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে জয় পায়নি। এবার প্রথম রাউন্ড খেলতে হয়নি। বিশ্বকাপের গত আসরে সেরা ৮ দলের একটি হওয়াতে সুপার টুয়েলভে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে খেলে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডই অতিক্রম করতে পারেনি বাংলাদেশ। একটি ম্যাচও জিততে পারেনি।

২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে তৃতীয় বিশ্বকাপে একই দশা হয়। ২০১২ সালে চতুর্থ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কায় হওয়া বিশ্বকাপেও সেই দুর্দশা কাটেনি। ২০১৪ সালে পঞ্চম বিশ্বকাপে নিজ দেশে হওয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড অতিক্রম করতে পারলেও সুপার টেনে একটি ম্যাচও জিতেনি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের ষষ্ঠ বিশ্বকাপে ভারতে প্রথম রাউন্ড অতিক্রম করলেও সুপার টেনে গিয়ে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২০২১ সালের সপ্তম বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও একই দশা হয়। কোন রকমে প্রথম রাউন্ড অতিক্রম করে বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভে টানা ৫টি ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।

এবার বাংলাদেশ সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলছে। আর এবারই জয়ের আশাও সবচেয়ে বেশি আছে। ইতিহাস আজই হয়ে যাবে, সেই প্রত্যাশা এখন পূরণ হয়ে গেলেই হলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ