Search
Close this search box.

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ‘হিরো’ কে?

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ‘হিরো’ কে?

মিথুন আশরাফ – নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ‘হিরো’ হয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন। প্রথমবারের মতো প্রথম রাউন্ডের পরের রাউন্ডে কোন ম্যাচ জিততে পেরেছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের লড়াই। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ৯ টায় ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচে কি বাংলাদেশ জিততে পারবে? কখনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার যদি কোনভাবে হারানো যায়, তাহলে ম্যাচের ‘হিরো’ হবেন কে? এই প্রশ্নই চতুর্দিকে ঘুরছে।

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একজন ‘হিরো’র খোজেই আছেন। বুধবার তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি আসলে মোমেন্টামের খেলা তো, মোমেন্টামটা ধরাটা খুব জরুরি এবং সেটা বজায় রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে ও টেস্টে সাধারণত পারফর্মারের সংখ্যাটা বেশি থাকে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু অত বেশি থাকার সুযোগটা নেই। কম পারফর্মার থাকবে কিন্তু ওদের পারফরম্যান্সটা একটু বড় হতে হয়।’

সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি এটা আশা করছি যে, আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ। আমাদের ১১ জনের যারা খেলবে তাদের মধ্যে একজনের হিরো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তো ওই হিরোটা কে হবে সেটাই দেখার। ওগুলোই আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কাজ করে।’

কে হবেন সেই হিরো? সাকিব বলেছেন, ‘ওপেনারদের সুযোগ আছে ২০ ওভার ব্যাটিং করার। কেন তারা পারবে না? আমি বিশ্বাস করি তারা করতে পারবে। কিংবা আমাদের বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে আগেরদিন, কেন আমরা আবার ১০ উইকেট নিতে পারব না। তো আমাদের চিন্তাই থাকবে ওরকম। আমরা খোলা মনে যেতে চাই, খেলাটা উপভোগ করতে চাই, আক্রমণাত্মক থাকতে চাই। অবশ্যই রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলতে চাই এবং দিন শেষে হাসিমুখে ফিরে আসতে চাই।’

তবে দলগতভাবে ধারাবাহিক ভালো করার দিকেই বেশি মনোযোগ সাকিবের। তিনি বলেছেন, ‘চমকে দেওয়ার মতো কিছু হলে সেটা তো চমকই হলো। কিছু কিছু ব্যতিক্রম থাকে যেটা উদাহরণ হতে পারে না। উদাহরণ হলো যখন দলগতভাবে পারফর্ম করছে, কেউ না কেউ প্রতিদিন পারফর্ম করছে। দলের কেউ হয়তো ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে। সেই দলগুলোই হয়তো দীর্ঘমেয়াদে ভালো খেলে। আমরা ওরকমই পারফরম্যান্স চাই।’

ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্সের গুরুত্বও কম নয়। প্রতিপক্ষকে এভাবে চাপে ফেলা গেলে মন্দ কী। সাকিব তাই বলেছেন, ‘যদি দু-একটা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স হয় সেটাকে আমরা স্বাদরে গ্রহণ করবো। আমরা চাইব প্রতি ম্যাচেই এরকম এক-দুইটা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স হোক। যেটা খেলার মোড়টা ঘুরিয়ে দেয় অনেক বেশি। বিশেষ করে এটা যেহেতু অনেক ছোট একটা সংস্করণ। ওরকম একটা পারফরম্যান্স হলে প্রতিপক্ষের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ