স্পোর্টস রিপোর্টার – জাতীয় ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ। পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন হতে ড্র করলেই চলত রংপুরের। কিন্তু প্রথমবার শিরোপা জিততে জয়ের বিকল্প ছিল না সিলেটের সামনে। ফলে শেষ রাউন্ডে সিলেট-রংপুর ম্যাচটি রূপ নেয় অলিখিত ফাইনালে। তবে শেষ পর্যন্ত সিলেটের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েই জয় তুলেছে আকবর আলির দল।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ফল মাত্র তিন দিনেই হয়ে গেছে। যেখানে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৭ গুটিয়ে গিয়েছিল সিলেট। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রান জড়ো করে রংপুর। দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সিলেট, অলআউট হয়েছে মাত্র ১৬৮ রানে। ফলে ৮৮ রানের সহজ লক্ষ্য পায় রংপুর। যা ৫ উইকেটে হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে উল্লাসে মেতেছে আকবর আলির দল।
প্রথম ইনিংসে সিলেটকে ১০৭ রানে গুটিয়ে দিতে চার পেসার সোহেল রানা, মুশফিক হাসান, রবিউল হক, আরিফুল হক আর আব্দুল্লাহ আল মানুন মিলে নেন ৯ উইকেট। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন পান এক উইকেট। ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা, তানজিম সাকিবকে নিয়ে গড়া সিলেটের দারুণ পেস আক্রমণের ঝাঁজ সয়ে মিম মোসাদ্দেকের ৩৮ ও অভিজ্ঞ নাসির হোসেনের ৪১ রানে ১৮৮ রান করে ৮১ রানের মহামূল্যবান লিড নিয়ে নেয় আকবর আলির দল।
ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান করতে হতো সিলেটকে। তৌফিক খান তুষার আর নাসুম আহমেদ ছাড়া কেউই জুতসই রাননি। সিলেটকে এবার ১৬৮ রানে আটকে দিতে মিডিয়াম পেসে ৪০ রানে ৪ শিকার ধরেন মামুন। সহজ লক্ষ্য পেরুতে গিয়েও ২৬ রানে ইবাদত-রাজার তোপে দুই ওপেনারকে হারায় রংপুর। কিন্তু তিনে নামা রিশাদকে নিয়ে খেলা সহজ করে দিতে থাকেন মিম মোসাদ্দেক। দুজনের ৩৫ রানের জুটিতে ম্যাচ চলে আসে নাগালে।
রিশাদ ২০ করে আউট হওয়ার পর সাকিবের পেসে তানভির হায়দারকেও দ্রুত হারায় রংপুর। অধিনায়ক আকবর নেমে তড়িঘড়ি কাজ সেরে নেওয়ার তালে ছিলেন। ২২ বলে তার ১৮ রানের ইনিংসও থামে সাকিবের বলে। বোলারকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রংপুর অধিনায়ক। আরিফুলকে এক পাশে রেখে বাকি থাকা অল্প রান দ্রুতই তুলে নেন মীম মোসাদ্দেক। এর আগে, ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রথমবার জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর। যদিও পরের আসরগুলোতেও ধারাবাহিক ছিল তারা। গত চার আসরের মধ্যে তিনবার রানার্সআপ হয় উত্তরবঙ্গের দলটি। এবার দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজেদের দাপট প্রতিষ্ঠা করল তারা।