মিথুন আশরাফ – ফুটবলবিশ্বকাপে প্রথম অঘটনের শিকার হয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। হার দিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু হয় মেসির দলের। সৌদি আরবের কাছে ১-২ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে ১ গোল হয়। আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ২ গোল হয়। দুটি গোলই দেয় সৌদি আরব। আর্জেন্টিনার পক্ষে মেসি পেনাল্টি থেকে ১টি ও সৌদি আরবের পক্ষে আল শেহরি ও আল দাওসারি গোল করেন।
লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলার শুরুতে দ্বিতীয় মিনিটেই ডি বক্সের ভেতর থেকে মেসি গোল করার সুযোগ পান। কিন্তু গোল করতে পারেননি। গোলরক্ষক বল আটকে দেন। ৮ মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে সৌদি আরব ফুটবলাররা আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরে টানতে থাকেন। আর্জেন্টিনার পেরেডেসকে টানতে থাকেন আনদুলেলাহ। তাতে করে রেফারি টিভিতে ভিএআরে অবস্থা পর্যালোচনা করে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। ৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি (১-০)। শুরুতেই মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ২০ মিনিটে আরেকটি গোল করেন মেসি। কিন্তু অফ সাইড হয়। ২৭ মিনিটে মার্টিনেজও গোল করেন। উৎসবও শুরু হয়ে যায়। অনেকক্ষন পর ভিআরএ দেখে অফসাইড দেয়া হয়। দুটি গোল অফ সাইডে হলো না। না হলে তিন গোলে এগিয়ে যেত আর্জেন্টিনা। ৩৫ মিনিটে গিয়ে আবারও মার্টিনেজ গোল করেন। আবারও অফ সাইড হয়। এক হালি গোল এরইমধ্যে হয়ে যেত। কিন্তু হয়নি। প্রথমার্ধে ১টি গোলই হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সৌদি আরব গোল দিয়ে দেয়। ৪৮ মিনিটে সমতা আনে সৌদি আরব। আল শেহরি অসাধারণ গোল করেন (১-১)। কিছুক্ষন যেতেই আরেকটি গোল করে সৌদি আরব। এবার ডি বক্সের ভেতর বল পেয়ে ৫৩ মিনিটে আল দাওসারি গোল করে দলকে এগিয়ে দেন (২-১)। গোলমুখে দুটি শট করার সুযোগ পান সৌদি আরব ফুটবলাররা। দুটিতেই গোল হয়। তখনই সবার মুখে একটিই আলোচনা, বিশ^কাপের প্রথম অঘটনটি কী তাহলে ঘটে যাচ্ছে? ৬৩ মিনিটে সমতায় আসার সুযাগটি পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। সৌদি আরব গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন। ৭২ মিনিটে ডি মারিয়াও গোল করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। এরপর একটি ফ্রি কিক এবং ৮৪ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর হেড করে গোল করার সুযোগ পান মেসি। কিন্তু তাও কাজে লাগেনি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়েছে। ৯১ মিনিটে আবার মেসি গোল করার সুযাগ পান। কিন্তু গোল আর করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ১-২ গোলে হার নিয়েই খেলা শেষ করে আর্জেন্টিনা। প্রথম অঘটনের শিকারও হয় আর্জেন্টিনা।