মিথুন আশরাফ – সার্বিয়ার বিপক্ষে অসাধারণ ম্যাচ জিতেছে ব্রাজিল। রিচার্লিসনের জোড়া গোলে জয় পেয়েছে। ২-০ গোলে দাপটে জিতে হেক্সা মিশনও শুরু করেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এরপর কী আর দলের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন নেইমার? ফোলা গোড়ালি নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়ায় নেইমারকে নিয়ে শঙ্কা জেগে গেছে। তাহলে কী নেইমারের কাতার ফুটবল বিশ^কাপ শেষ? সেই প্রশ্নই এখন সবার মুখে মুখে।
তবে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। তার বিশ্বাস, বিশ্ব মঞ্চে খেলা চালিয়ে যাবেন ব্রাজিলের তারকা এই ফরোয়ার্ড। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ৮১ মিনিটে নেইমারকে তুলে নেয়া হয়। নেইমারের চোখ ছলছল করতে থাকে জলে। তার গোড়ালি ফুলে যায়। কোচ তিতে অবশ্য বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, নেইমার খেলবে। সে বিশ্বকাপে খেলা চালিয়ে যাবে। আমি দেখিনি সে আঘাত পেয়েছে। ব্যথা সয়েও খেলে যাওয়ার সামর্থ্য তার ছিল। এমনকি সে আমার চোখও ফাঁকি দিয়েছে।’
ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার অবশ্য নেইমারের চোটের অবস্থা জানতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করার কথা বলেছেন। এরপর তাকে নিয়ে আসল সিদ্ধান্ত জানা যাবে। তার মানে আজই সেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে। ব্রাজিলের পরের ম্যাচ আগামী সোমবার। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ। এরআগে যথেষ্ট সময়ও মিলছে।
সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে কোন গোল করতে পারেনি ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ২ গোল করে জিতে। দুটি গোল করেন রিচার্লিসন। প্রথম গোলটি ৬২ মিনিটে হয়। নেইমারের বিশেষ অবদান আছে। তার পাসেই যে গোল করা যায়।
ম্যাচটিতে নেইমার মোট ৯ বার ফাউলের শিকার হন। এবারের বিশ্বকাপে যা এখন পর্যন্ত কোনো ফুটবলারকে সর্বোচ্চ ফাউল করার রেকর্ড। নেইমার যখন ম্যাচশেষে সাইডবেঞ্চে বসে ছিলেন, তখনই তার চোখেমুখে স্পষ্ট হয়েছে ইনজুরির যন্ত্রণা। দল যখন জয় উদযাপনের অপেক্ষা করছিল, তখন ব্রাজিলের মেডিকেল টিম তার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ম্যাচশেষে ব্রাজিল দলের ডাক্তার রদ্রিগো লেসমার নেইমারের ইনজুরি নিয়ে বলেন, ‘নেইমারের ডান পায়ের গোড়ালি মচকে গেছে। ওই অংশটি ফুলে গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে আইস ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। এখন তার ফিজিক্যাল থেরাপি চলছে।’
এর আগে ২০১৪ সালে নিজ দেশে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পিঠের ইনজুরিতে পড়ে আসর থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন নেইমার। তার অনুপস্থিতিতে সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে স্বপ্নভঙ্গ হয় সেলেসাওদের। এবার গোড়ালির ইনজুরি ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আরও একটি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দেয়ার দ্বারপ্রান্তে। আজই হয়ত সব খোলাসা হয়ে যাবে। নেইমারের বিশ^কাপ কী শেষ? সেই প্রশ্নের উত্তরও হয়ত মিলে যেতে পারে।