Search
Close this search box.

ভারতকে বেশি দুর যেতে দেননি সাকিব-তাইজুল

ভারতকে বেশি দুর যেতে দেননি সাকিব-তাইজুল

মিথুন আশরাফ – প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ বড় স্কোর গড়তে পারেনি। তবে ভারতও যে বড় স্কোর গড়েছে তা নয়। সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম মিলে ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৩১৪ রানের বেশি স্কোর গড়তে দেননি। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করায় ভারত ৮৭ রানে এগিয়ে থাকে। দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ যখন ৬ রান করে তখন ৮১ রানে এগিয়ে থাকে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মুমিনুল হকের ৮৪ রানে ২২৭ রান করে অলআউট হয়। এরপর ভারত ব্যাটিং করতে নেমে প্রথমদিনে ১৯ রান করেছিল। দ্বিতীয় দিনে দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল ব্যাট হাতে নামেন। ভারত শুরুতে বিপদে পড়ে। ৯৪ রানেই ৪ উইকেট হারায়। শুরুতেই তাইজুল ৩ উইকেট শিকার করে ভারতের ইনিংসে ধ্বস নামানো শুরু করে দেন। বিরাট কোহলিকে যখন আউট করে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ, তখন বাংলাদেশ শিবিরে আনন্দ দেখা দেয়। কিন্তু এরপর সেই ধারা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ।

পঞ্চম উইকেটে ঋষভ পন্থ ও শ্রেয়াস আইয়ার মিলে ১৫৯ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। তাতেই আসলে রানের গতি বেড়ে যায়। স্কোর বড় হয়। না হলে ৩০০ রানে বেশি রানও করতে পারত না ভারত। দলের ২৫৩ রানে গিয়ে যখন পন্থকে (৯৩) যখন মেহেদি হাসান মিরাজ আউট করে দেন, তখন থেকে আবারও ভারত শিবিরে ধ্বস নামা শুরু হয়ে যায়।

এরপরতো দেখতে দেখতে ৩১৪ রানের মধ্যে গুটিয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। শেষ ৬১ রানের মধ্যে ৬ উইকেট যায় ভারতের। শ্রেয়াস আইয়ার ৮৭ রান করেন। দলের ২৭১ রানে গিয়ে আইয়ার আউট হন। শেষদিকে গিয়ে সাকিব টপাটপ উইকেট নিতে থাকেন। তাতেই ৩১৪ রানে থামে ভারত। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ইনজুরির জন্য বোলিং করতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বোলিং করেই জ্বলে উঠলেন সাকিব।

দ্বিতীয় দিনে মিরাজ আহত হন। নাক দিয়ে হালকা রক্ত ঝড়তেও দেখা গেছে। তাসকিন আহমেদের লাফিয়ে ওঠা বলে কাট করেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। গালিতে ফিল্ডিংয়ে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বল নাগালে থাকায় লাফিয়ে উঠেছিলেন ডানদিকে। কিন্তু তার একহাতে বল জমেনি। উল্টো লাফে ভারসাম্য না থাকায় বিপদ ডেকে আনেন।

শূন্যে থেকে নিচে পড়তেই ভারসাম্য হারান মিরাজ। তার মুখ সরাসরি মাটিতে আঘাত করে। নাকে ব্যথা পেয়েছেন বোঝা গেছে। ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক মাঠে ঢুকে তার নাক চেপে ধরেন। তাকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। ড্রেসিংরুমে যাননি। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের পথ ধরে বিসিবির মেডিকেল কক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে গেছেন। মিরাজের পরিবর্তে ফিল্ডিংয়ে আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। চোট ততটা গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসাতেই মিলেছে সমাধান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ