Search
Close this search box.

বিপিএলের সিইওর দায়িত্ব পেলে ২ মাসে সব পরিবর্তন করতে পারব – সাকিব

বিপিএলের সিইওর দায়িত্ব পেলে ২ মাসে সব পরিবর্তন করতে পারব - সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার – বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) অবস্থান থেকে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। যে জৌলুসে বিপিএল শুরু হয়েছিল তা ধরে রাখতে পারছেনা। এমন মুহুর্তে বিপিএলের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পেলে মাত্র দুই মাসে সব পরিবর্তন করে দেবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানিতে একদিনের জন্য চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের (সিইও) দায়িত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। বুধবার এত বড় এক দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথাই জানালেন টাইগারদের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক।

বিপিএল আয়োজনের দায়িত্ব পেলে কী করতেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব জানালেন, ‘বেশি দিন লাগবে না পরিবর্তন করতে। সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ মাস। সাকিব বলছিলেন, ‘আমাকে যদি বিপিএলের সিইওয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমার বেশি দিন লাগবে না। আমার ধারণা, ১ থেকে ২ মাস লাগবে সব কিছু ঠিক করতে, ম্যাক্সিমাম। খুব বেশি হলে দুই মাসও লাগার কথা না। দুই মাস তো অনেক দূরের কথা বলেছি।’

সাকিব হাসির ছলে একটি সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘নায়ক মুভিতে দেখেছেন না, একদিনে অনেক কিছু করা সম্ভব যে করতে পারে। যে পারে সে সবসময়ই করতে পারে।’ চলতি মৌসুমে নতুন সিইও হলে আপনি কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘এই মৌসুমের সব কিছু বাদ দিয়ে আবার ড্রাফট হবে, অকশন হবে। ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে সব আধুনিক টেকনোলজি থাকবে। ব্রডকাস্ট ভালো থাকবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে।’

ভবিষ্যতে সত্যিকার অর্থেই গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির মতো প্রতিষ্ঠানের সিইও হওয়ার স্বপ্ন দেখেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, এখন পর্যন্ত ক্রিকেট নিয়েই স্বপ্ন আছে। যখন তা শেষ হবে, তখন নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করব।

সিইও হিসেবে প্রথম কী কাজ করবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি হেসে বললেন, অম্লান দা-কে (অম্লান মিত্র, সিইও গালফ অয়েল বাংলাদেশ) ফায়ার করলাম। বলা আসলে কঠিন। এ রকম পজিশনে কাজ করতে হলে আগে থেকে কাজগুলো বিশ্লেষণ করে আসতে হয়। আসলে এরকম একটি কোম্পানিতে সবার মতামত নিয়েই কাজগুলো করা হয়। তো, আমিও সবার সম্মতি নিয়েই সিদ্ধান্তগুলো নেব।

বিপিএল নিয়ে বিসিবি সবসময়ই স্পন্সরের সংকটের কথা বলে। সাকিব অবশ্য বিশ্বাস করেন না টাকার অভাব। তিনি বলছেন, বাংলাদেশে ক্রিকেটের বাজার বেশ বড়; বিসিবি কর্তাদের স্বদিচ্ছার অভাবকেও দায়ী করেছেন সাকিব।

তিনি বলেন, ‘পারিনি নাকি চাইনি জানি না – বলাটা কষ্টকর (বড় করতে)। চাইলে না পারার কোনো কারণ আমি দেখি না। আমার মনে হয় আমরা সৎ মনে কখনও চাইনি কিছু করতে এখন পর্যন্ত। বাজেট নেই, কারণ আমরা বাজেট তৈরি করতে পারিনি। যদি তৈরি করতে পারতাম, মান অর্জন করতে পারতাম – অবশ্যই এই বাজেটটা অনেক বড় হওয়ার কথা ছিল।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘গ্রামের এমন কোনো প্রত্যস্ত অঞ্চল দেখবেন না যেখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না। এমন তো না যে এটার জনপ্রিয়তা নেই। ১৬-২০ কোটি মানুষের একটা দেশে এতো পছন্দের একটা খেলা এটার বাজারটা থাকবে না; এটা খুবই দুঃখজনক। মানে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না।’

স্পন্সর সংকট নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার ধারণা এটা মার্কেটিংয়ের জায়গা থেকে বড় একটি ব্যর্থতা। যে কারণে আমরা সেই রকম একটা বাজার তৈরি করতে পারিনি। (ডিআরএস নেই) বাজে সঙ্কট সম্ভবত। স্বদিচ্ছা থাকলে কোনো কিছু থেমে থাকার কারণ দেখি না। আমি তো কোনো কারণই দেখি না ডিআরএস না থাকার, তিন মাস আগে ড্রাফট বা অকশন না হওয়ার এবং দলগুলো এক মাস আগে ঠিক হবে না। ’

সাকিব বলেন, ‘খেলোয়াড়রা এভেইলেবল থাকবে। এখন এক প্লেয়ার একদিন আসবে, দুইদিন পর চলে যাবে। কে কখন আসবে কখন যাবে কেউ জানে না। ড্রেস পায়নি প্লেয়াররা। আমি আপনাদের নিউজেই দেখেছি। একটা যা-তা অবস্থা। এর থেকে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) আরও ভালোভাবে হয়। কারণ তারা আগে থেকেই টিমটা গোছাতে পারে। আরও আগে থেকে জানে যে টিমটা কি হচ্ছে এবং তারা সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে।’ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএলের নবম আসর। সাকিব খেলছেন ফরচুন বরিশালে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ