স্পোর্টস ডেস্ক – ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আয়োজক ভারত। এখনো বিশ্বকাপ শুরুর তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তবে সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে আগামী ৫ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৯ নভেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হতে পারে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এমনই প্রতিবেদন করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১০ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১২টি শহরের স্টেডিয়ামের তালিকা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ৪৬ দিনের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে নকআউট পর্বসহ মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে পারে ফাইনাল। তালিকায় থাকা অন্য ভেন্যুগুলো হলো বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধর্মশালা, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, কোলকাতা, লক্ষৌ, ইন্দোর, রাজকোট ও মুম্বাই।
কোনো ম্যাচ বা অনুশীলনের জন্য কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত করেনি বিসিসিআই। ভারতের বিভিন্ন স্থানে বর্ষাকাল নিয়ে জটিলতা থাকায় ভেন্যু চূড়ান্ত করতে দেরি হচ্ছে।
সাধারণত বিশ্বকাপের এক বছর আগে সূচি প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু এবার সরকারের কাছ থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের অনুমতি পেতে দেরি হয়েছে। এর কারণ হলো টুর্নামেন্টের জন্য কর ছাড় এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ভিসা নিশ্চিত করা। আইসিসির ইভেন্ট ছাড়া ২০১৩ সালের পর থেকে ভারতের মাটিতে খেলেনি পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
দুবাইয়ে গত সপ্তাহে আইসিসির বৈঠকে বিসিসিআই জানিয়েছে, বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসার জন্য পাকিস্তান দলকে সহজেই ভিসা দিবে ভারত সরকার। আর কর ইস্যু নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান শিগগিরই আইসিসিকে আপডেট জানাবে বিসিসিআই। কড় ছাড়ের বিষয়টি ২০১৪ সালেই বিসিসিআইয়ের সাথে চুক্তি হয়েছিল আইসিসির। যখন ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (মহামারীর কারণে পরিবর্তিত হয়ে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে) এবং ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। চুক্তি অনুসারে, আইসিসি (টুর্নামেন্টের সাথে জড়িত সকল বাণিজ্যিক অংশীদার) সকল কর মওকুফ করতে সহায়তা করতে ‘বাধ্য’ ছিল।