Search
Close this search box.

মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সামনে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সুযোগ

মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সামনে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সুযোগ

মিথুন আশরাফ – আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান একমাত্র টেস্ট ম্যাচটিতে বাংলাদেশের সামনে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সুযোগ ধরা দিয়েছে। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৭ রান করে। এখনও ১২৮ রানে পিছিয়ে আছে আইরিশরা। দ্বিতীয় দিন শেষ বেলায় যেভাবে ১৩ রানেই ৪ উইকেট তুলে নেয়া গেছে, তৃতীয় দিন শুরুতেও যদি তাই করা যায়, তাহলে ইনিংস ব্যবধানে জিততেও পারে বাংলাদেশ।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে অলআউট করে দিয়ে প্রথম দিন শেষ হওয়ার আগে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান করেছিল বাংলাদেশ। পিছিয়ে ছিল ১৮০ রানে। দ্বিতীয় দিন মুশফিকুর রহিম ১৬৬ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ১২৬ রান করে আউট হন। সেঞ্চুরি পাওয়ার সুযোগ ছিল সাকিব আল হাসানের সামনেও। কিন্তু ৯৪ বলে ১৪ চারে ৮৭ রান করে আউট হয়ে যান সাকিব। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ ৫৫ ও লিটন কুমার দাসের ৪৩ রানে প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রান করতে পারে বাংলাদেশ। ১৩৫ বলে দশম সেঞ্চুরি করার পর যখন মুশফিক দলের ৩৩১ রানে আউট হয়ে যান, এরপর আর বেশিদুর যেতে পারেনি বাংলাদেশ। মুশফিক আউট হওয়ার আগে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যেই মুশফিক আউট হন, মুহুর্তে ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। না হলে ৪০০ রান সহজেই হতে পারত। আয়ারল্যান্ডের থেকে ১৫৫ রানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হতে আইরিশরা ব্যাট হাতে নেমেই ধ্বসে পড়ে। ১৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। তাইজুল ইসলাম ও সাকিব দুটি করে উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের বারোটা বাজিয়ে দেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ২৭ রান করে মাঠ ছাড়ে আইরিশরা। হ্যারি টেকটর (৮*) ও পিটার মুর (১০*) তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে। তৃতীয় দিনের সকালে যদি আইরিশদের উইকেট টপাটপ নেয়া যায়, তাহলে প্রথমবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমেই ইনিংস ব্যবধানে জয় ধরা দিবে।

দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই আছে মিরপুর টেস্ট। তবে মুশফিকের সেঞ্চুরি নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। দশম সেঞ্চুরিতে তামিমের পাশে এখন মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট সেঞ্চুরি রেকর্ডে তারা দুজন এখন যৌথভাবে দুইয়ে। দারুণ ব্যাটিংয়ে মুশফিক পৌঁছে গেলেন তিন অঙ্কের ঠিকানায়।

ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি দিনের শুরুতেই। আগের দিন শেষ বলে আউট হন তামিম ইকবাল। বুধবার সকালে মুমিনুল হকের সঙ্গে ক্রিজে যান মুশফিক। চার নম্বরে তিনি সচরাচর ব্যাট করেন না। এ দিন দুর্দান্ত সব শটের পসরা সাজিয়ে সেঞ্চুরি করে ফেললেন দ্বিতীয় সেশনেই। এই পজিশনে যা তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।

সব মিলিয়ে দশম টেস্ট সেঞ্চুরিতে তিনি স্পর্শ করলেন তামিম ইকবালকে। বাংলাদেশের হয়ে এই দুজনের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল আর মুমিনুল হকের (১১টি)।

ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য তিনি টেস্টে কিপিং করছেন না কয়েক বছর ধরেই। ২০১৮ সালের পর একটি টেস্টেই তিনি কেবল কিপিং করেছেন, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তবে কিপিং না করার এই সময়টাতেও বেশির ভাগ সময় নম্বরেই ব্যাটিং করতে দেখা গেছে তাকে। এবারে চারে ব্যাট করে পেলেন সাফল্য। চার নম্বরে ১৬ ইনিংস খেলে তার প্রথম সেঞ্চুরি এটি। আগের ৯ সেঞ্চুরির ৪টি ছিল পাঁচে, ৪টি ছয়ে আর একটি সাতে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ