স্পোর্টস ডেস্ক: ব্রাজিল সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ২০০২ সালে। এরপর টানা দুই আসর কোয়ার্টার ফাইনালে থেকে বিদায় নিতে হয়। তবে ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলার সুযোগ ছিল সেলেসাওদের সামনে। কিন্তু সেবার ৭-০ ব্যবধানে জার্মানির কাছে পরাজিত হয়ে তৃতীয় হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল নেইমাররা।
২০১৮ এবং ২০২২ এই দুই আসরেও দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালের বৃত্ত থেকে যেনও কোনো ভাবেই বের হতে পারছেন না নেইমার-ভিনিরা। তবে আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন সেলেসাওদের নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়র।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। এ সময় ব্রাজিলকে ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার কথা জানিয়েছেন দরিভাল।
ব্রাজিলিয়ান এই কোচ বলেন, আমার মনে এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। আপনি লিখে রাখতে পারেন ২০২৬ বিশ্বকাপে আমরা ফাইনাল খেলব, বিশ্বাস না হলে দুই বছর পর আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।’ দরিভাল এও বিশ্বাস করেন তার দল দৃশ্যমান খেলার দিক থেকে উন্নতি করছে।
শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয়ের আগে টানা তিন ম্যাচ হেরেছে ব্রাজিল। ৭ ম্যাচে মোটে ১০ পয়েন্ট নিয়ে কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৪র্থ স্থানে আছে তারা। পরিসংখ্যান বলছে, বাছাইপর্বে এটিই ব্রাজিলের সবচেয়ে বাজে অধ্যায়।
কিন্তু এরপরেও দলের বর্তমান অবস্থায় বেশ সন্তুষ্ট কোচ, দল হিসেবে আমরা নিজেদের সেরা খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বল রিকোভারিতে আমরা ভাল করছি। প্রতিপক্ষ দুই থেকে তিন পাস দেয়ার পরই আমরা ট্রানজিশন ফিরে পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, আমরা রিকোভারির ক্ষেত্রে আরও আগ্রাসী হবো। দল হিসেবে আমার বিশ্বাস, আমরা উন্নতি করেছি। প্রতিপক্ষের বক্সের কাছে আমাদের এখনো কিছু ঘাটতি রয়েছে। একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় বা এমন কেউ যে কিনা প্রতিপক্ষের ভারসাম্য নষ্ট করে দেবে।
খেলোয়াড়দের উন্নতি নিয়ে দরিভাল বলেন, আমাদের দৃশ্যমান উন্নতি রাতারাতি হবে না। এটা সময় লাগবে, তবে খুব দ্রুতই আমরা নিজেদের খুঁজে পাব। ক্লাবের তুলনায় জাতীয় দলে কাজটা কঠিন। জাতীয় দলে দুই-তিন ম্যাচের পর খেলোয়াড়রা লন্ডনে চলে যায়। দানিলো যাবে ইতালি। আমাদের যেতে হবে রিও ডে জেনিরোতে। কাজটা সহজ না।
কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে ৮ম রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার ভোরে মাঠে নামবে ব্রাজিল। এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। ৭ ম্যাচ শেষে এই অঞ্চলে সবার ওপরে এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনা। তাদের পয়েন্ট ১৮। ব্রাজিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে।