বুধবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সন্দেহজনক সেই ম্যাচ নিয়ে তদন্তে নামছে বিসিবি

বিসিবি

ডিপিএলের (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) এক ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মাহুতি দিয়েছেন—এমন অভিযোগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই ব্যাটারকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সেই ম্যাচটি ছিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে, আর ম্যাচের ঘটনাগুলো দেখে সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটার, দর্শক-সমর্থক থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় চলছে তীব্র সমালোচনা।

বিসিবি তদন্ত শুরু করেছে:
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তে দুর্নীতি দমন ইউনিট ও টেকনিক্যাল কমিটিকে যুক্ত করেছে। বিসিবি বলেছে, “ক্রিকেটে ন্যায্যতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। ম্যাচ সংশ্লিষ্ট যেকোনো অনিয়ম খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কেন সন্দেহ জেগেছে:
১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শাইনপুকুরের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৬ রান। তখন দেখা যায়, ড্রেসিংরুম থেকে বার্তা পাঠানো হয় গুলশানের ব্যাটারদের উদ্দেশে। এরপর উইকেটকিপার ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে আউট হন, তা ছিল একেবারেই অস্বাভাবিক।

তিনি উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বল মিস করেন। উইকেটকিপার আলিফ হাসান প্রথমে বল ধরতে না পারলেও ব্যাটসম্যান ব্যাট নামাননি। দ্বিতীয়বার স্টাম্প ভাঙার পর ব্যাট নামান মিনহাজুল—যা দেখে ধারাভাষ্যকারও বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক দৃশ্য।”

ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, যেখানে অনেক খেলোয়াড়ও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ক্লাব দ্বন্দ্ব ও দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি:
উল্লেখযোগ্য বিষয়, গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কোচ ও সেক্রেটারি খালেদ মাহমুদ, একইসঙ্গে শাইনপুকুর ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারিও। ফলে সংঘাতপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তার ভূমিকা নিয়েও।

বিসিবির বার্তা:
বিসিবি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, “ক্রিকেটের মর্যাদা রক্ষায় এবং দুর্নীতি দমনে আমরা শূন্য সহনশীলতা নীতিতে অটল। খেলার স্পিরিটকে ব্যাহত করে এমন যে কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ