স্টাফ রিপোর্টার-ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমেই মোবাইল অপারেটরগুলোর সেবা প্রদান-ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় শীর্ষ অবস্থান তৈরি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, স্পেকট্রাম সুবিধাসহ সরকার প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে গুণগত মানের মোবাইলফোন সেবা নিশ্চিত করা মোটেও কঠিন কাজ নয়।
আজিয়াটা লিমিটেডের যুগ্ম ভারপ্রাপ্ত গ্রুপ সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) ড. হান্স বিজয়াসুরিয়ার নেতৃত্বে ‘মোবাইল অপারেটর রবির’ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এক বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তারা মোবাইল সেবার মানোন্নয়ন ও ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা চালু, প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণের বিষয়েও মত বিনিময় করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, টেলিযোগাযোগসহ ইন্টারনেট মহাসড়ক নির্মাণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফোর-জি নেটওয়ার্ক যুগ অতিক্রম করছে। এর ফলে কোভিডকালে অচল জীবন যাত্রা সহজতর হয়।
তিনি ডিজিটাল অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়নের কারণে দেশে শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল সেবার মান নিশ্চিত করতে অবকাঠামো ও ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নে সম্ভাব্য সব কিছু করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। ইতোমধ্যে আমরা চাহিদার মানদন্ড বিবেচনায় রেখে মোবাইল অপারেটরগুলোকে প্রয়োজনমত স্পেকট্রাম বরাদ্দ দিয়েছি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রত্যেকটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানিই সহসাই গ্রাহকদের প্রত্যাশিত মোবাইল সেবা প্রদানে সক্ষম হবে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। মন্ত্রী কোভিডকালে দেশের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর দোড়গোরায় ফোর-জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে তার নির্দেশ দ্রুততার সাথে বান্তবায়নে রবির ভূমিকার প্রশংসা করেন।
ড. হান্স বিজয়াসুরিয়ার, ফাইভ-জি চালুসহ সুন্দরবন থেকে বান্দরবনসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় রবি’র নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ২০২২ সালে প্রদত্ত স্পেকট্রাম গুণগত মানের মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি রবির গুণগত সেবা নিশ্চিত করতে ২০২১ ও ২০২২ সালের স্পেকট্রাম নিলামসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন।
প্রতিনিধিদলের অপর তিন সদস্য রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত সিইও এম রিয়াজ রশিদ, চীফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট পাবলিক এফেয়ার্স এন্ড সাস্টেনিবিলেটি শরীফ শাহ জামাল রাজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।