স্পোর্টস রিপোর্টার – এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থ হলেও বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি আমরা। এমন কথাই বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করা। ছেলেদের মাথায় এই ফরম্যাটটা ছড়িয়ে দিতে চাই। অনেকে আমাদের তাচ্ছিল্য করে এই ফরম্যাটের কারণে। আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে, অবশ্যই ভালো করব। আমি নিজে পজিটিভ মানুষ, তাই পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি সবসময়। আমি মনে করি, বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নও হতে পারি আমরা। যদিও সে রাস্তাটা মোটেও সহজ হবে না। হয়তো ৬ মাস কিংবা ১ বছর সময় লাগবে।’
আফগানিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে খেলতে পারেনি। এখন চলছে সুপার ফোর। এরপর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশিয় সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। তারপর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ খেলতে যাবে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের স্পেশাল ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে মিরপুরে।
সুজন জানালেন, দুঃস্মৃতি ভুলে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের খেলতে হবে ভয়ডরহীনভাবে। সেজন্য যদি প্রথম বলে আউট হতে হয় তাহলেও কোন সমস্যা দেখছেন না সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক। সুজনের চাওয়া সবাই স্বাধীনতা নিয়ে খেলুক এবং আগ্রাসী ক্রিকেট খেলুক।
সুজন বলেন, ‘আমি চাই ব্যাটাররা সাহস নিয়ে খেলুক। এই ফরম্যাটের জন্য স্বাধীনতা নিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেটটাই খেলতে চাই আমরা। আর এমনভাবে খেলার সময় প্রথম বলে আউট হতেই পারে ব্যাটার, এতে কোনো সমস্যা দেখছি না আমি। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ১-২টা ম্যাচ নাও জিততে পারি আমরা।’
এশিয়া কাপে কয়েকজন ক্রিকেটার না থাকায় দল ভুগেছে। তাদেরকে মিসও করেছেন টিম লিডার সুজন। এ বিষয় জানাতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘ফিটনেস ঠিক হলে সবাই দলে ফিরবে। হাসানকে মিস করেছি। রাব্বি-সোহান-লিটন এরা সবাই ফিরলে দল আরো শক্তিশালী হবে।’