Search
Close this search box.

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেই বিদায় সাকিবরা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেই বিদায় সাকিবরা

মিথুন আশরাফ – ত্রিদেশিয় ক্রিকেট সিরিজে আর একটি খেলায় হারলেই বিদায় ঘন্টা বাজবে বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে আজ  সকাল ৮ টায় খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে যদি বাংলাদেশ হারে, তাহলে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়ে যাবে।

সিরিজে তিন দল পরস্পরের বিপক্ষে দুটি করে মোট ৪টি ম্যাচ খেলবে। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান ৩টি করে ম্যাচ খেলে ২টি করে ম্যাচে জয়ে ৪ পয়েন্ট পেয়েছে। বাংলাদেশ ২ ম্যাচের ২টিতে হেরে শূন্য পয়েন্টে আছে। আজ বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ আছে। যদি ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হারে, তাহলে নিউজিল্যান্ডের ৬ পয়েন্ট হবে। পাকিস্তানের থাকবে ৪ পয়েন্ট। বাংলাদেশের কোন পয়েন্ট জমা থাকবেনা। তখন তিন দলেরই একটি করে ম্যাচ বাকি থাকবে। বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে জিতলেও ২ পয়েন্টের বেশি পাবে না। এখনই নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের ৪ পয়েন্ট করে আছে। পাকিস্তানকে শেষ ম্যাচে ৯ উইকেটে হারায় নিউজিল্যান্ড। তাতেই ৪ পয়েন্ট হয় নিউজিল্যান্ডের। আজ হারলে বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার আর কোন সম্ভাবনাই থাকবেনা। কোন দুয়ার আর খালি থাকবেনা। বিদায় নেবে।

তবে এখনও হাল ছাড়তে নারাজ বাংলাদেশ। যদি এখনও হাতে থাকা শেষ দুই ম্যাচ বাংলাদেশ জিততে পারে, তাহলে ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা থাকবে। কারণ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার একটি খেলা রয়েছে। যে দল জিতবে, তাদের ৬ পয়েন্ট হবে। হারা দলের ৪ পয়েন্টই থাকবে। বাংলাদেশ যদি শেষ দুই ম্যাচ জিততে পারে, তাহলে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট হবে। তখন নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার যে দলের ৪ পয়েন্ট থাকবে, সেই দলের সঙ্গে রানরেটে এগিয়ে থেকে ফাইনাল খেলতেও পারে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরাম দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েও কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ এখনও বেশ কাঁচা খেলাই খেলছে। শ্রীরাম আশাবাদি। ধৈর্য্য ধরতে বললেন। তিনি বলেন, আমাদের খুবই শান্ত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওঠা-নামা থাকবেই। এই ওঠা-নামার সময়টায় আমাদেরকে স্থির থাকতে হবে। দলে এই আবহ বজায় রাখতে দারুণ কাজ করছে সাকিব। সে ছেলেদের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে, সবসময় কথা বলছে। আমার মনে হয়, এই দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার পরিস্কার পরিকল্পনা আছে তাঁর। আমাদের সবটুকু সমর্থন তার প্রতি আছে। আমরা চাই সে দলকে এগিয়ে নিক। এটা তার দল, আমরা তাকে সবদিক থেকে সহায়তা করব।

সাথে যোগ করেন, সব সমর্থক ও মিডিয়াকে আমি অনুরোধ করছি, আমাদের পাশে থাকুন। এটা দেশের ব্যাপার, সবার আবেগের ব্যাপার। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনতে ছেলেরা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমি চাই ধৈর্য ধরে রাখতে। মৌলিক একটা স্কোয়াড আমরা পেয়ে গেছি, যারা ভবিষ্যতে ভালো করবে। বিশ্বকাপের অপেক্ষায়ও আছি আমরা। যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট আমরা খেলব, নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশকে আমরা গর্ব উপহার দেব।
এ সিরিজটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিমূলক সিরিজ। তিন দল প্রস্তুতি ভালোভাবে সেরে নিতে চায়। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের প্রস্তুতি ভালোভাবেই হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যেন আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। একের পর এক ম্যাচ হারে ক্রিকেটারদের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়ছে।

এই সিরিজ শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ১৭ অক্টোবর আফগানিস্তান ও ১৯ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের আসল লড়াই শুরু হবে। ২৪ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসল মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ