রাজন ভট্টাচার্য
‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে ষষ্ঠ বারেরমতো আজ ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২২ পালন করা হবে। দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলাই এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
গত ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়ি মুক্ত দিবস। নাগরিকদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে বরং সাইকেল, হাঁটা বা গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে গাড়িমুক্ত দিবসের সূচনা হয়। গত ২০ বছর ধরে সড়ক মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। প্রতিদিন রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল বেড়ে যাওয়ায় এখন বিষয়টি জাতীয় সড়ক দুর্যোগে রূপ নিয়েছে।
দুর্ঘটনা রোধে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক পদক্ষেপ নেয়ার কথাও শোনা যায়। আসলে এদিক থেকে অর্জন কতোটুকু? সত্যিই কী আমরা ভালোর দিকে যাচ্ছি। নাকি সবকিছু কাগজে কলমে রেখে দিন দিন সংকটের মাত্রা বাড়ছে। অনিরাপদ আর আতঙ্কেও নাম হচ্ছে সড়ক? তেমনি উন্নয়নশীল অর্থনীতির এই দেশে গণপরিবহন না বাড়িয়ে রাস্তায় কতোটুকু ব্যক্তিগত গাড়ি মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে?
দুই.
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোন মানদ-েই কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে বাংলাদেশের সূচকের উন্নতি হয়নি। বরং অবনতি হয়েছে। তেমনি ব্যক্তিগত গাড়ির মাত্রাও বাড়ছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের নজর বড়লোকদের দিকেই। যারফলে ব্যক্তিগত গাড়ি কমিয়ে রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। গত কয়েকবছর আগে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতি শুক্রবার সংসদ এভিনিউ-এর রাস্তাটি ব্যক্তিগত গাড়ি মুক্ত থাকবে। কিন্তু প্রভাবশালীদের চাপে এই সামান্য উদ্যোগটিও আলোর মুখ দেখেনি। সব মিলিয়ে দুটি দিবসের মূল উদ্দেশ্য সফলতার জায়গা থেকে এখনও বহুদূর পিছিয়ে। একটিকে বাদ দিয়ে কিন্তু আরেকটি কোন ভাবেই সফল করা যাবে না।
তিন.
বিশ্বব্যাংক বলছে, সড়ক দুর্ঘটনার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম। অথচ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি যানবাহন যেসব দেশে চলে সেখানেও কিন্তু এত দুর্ঘটনা হয় না। প্রতিবেশি দেশ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি।
ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ১৬০ বর্গফুট জায়গা নেয় এবং বাইরে যতক্ষণ থাকে, তার ৯০ শতাংশ সময় পার্ক করা থাকে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘নামবিও’ কর্তৃক প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ট্রাফিক ইনডেক্স-২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী, যানজটের দিক দিয়ে ঢাকার অবস্থান প্রথম। ২০১৮ সালে এর অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। মাত্র তিন বছর আগেও ঢাকা তৃতীয় স্থানে ছিল। যানজটের মূল কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে। ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এবার ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন করলেও দিন দিন গাড়ির সংখ্যা কিন্তু বেড়েই যাচ্ছে। যা সত্যিই উদ্বেগের। কেন ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর হতে পারছে এর জবাব হয়ত সরকারের নীতি নির্ধারকরাই ভালো দিতে পারবেন। তবে সাধারণ মানুষ হিসেবে সাদা চোখে যা দেখি তা হলো, প্রভাবশালীদের হাতে দেশ। সাধারণ মানুষের কথা কে ভাববে?
চার.
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বলছে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মৃত্যু ১২ হাজার। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, ২০২১ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৩৭১টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৮ জন। নিহতদের মধ্যে ৮০৩ জন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী!
সংগঠনের হিসাবে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে সাড়ে ১৩ শতাংশ আর মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। তাদের হিসাবে, প্রতিদিন সড়কে ১৭ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর যত দুর্ঘটনা, তার ৬২ শতাংশের কারণ যানবাহনের বেপরোয়া গতি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রাতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়া চালকদের অদক্ষতা, মহাসড়কে স্বল্প গতির যানবাহনের চলাচল, ফুটপাত হকারের দখলে থাকা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সরকারি সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি, গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অসচেতনতার কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। অথচ ভারতে প্রতি ১০ হাজার নিবন্ধিত যানবাহনের বিপরীতে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে, আর বাংলাদেশ তা ৪৫।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিশ্বে সড়কপথে বাস সম্পৃক্ত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি। দেশে সড়কপথে চলাচলরত প্রতি ১০ হাজার বাসের বিপরীতে বাস সম্পৃক্ত দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রাণহানি ঘটে ২৮৭ জনের। এদিক থেকে বাংলাদেশের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে কেবল জিম্বাবুয়ে। দেশটিতে প্রতি ১০ হাজার বাসের বিপরীতে বাস সম্পৃক্ত দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২১৭ জনের। এর বাইরে আর কোনো দেশে বাস সম্পৃক্ত দুর্ঘটনায় এত বেশি প্রাণহানির নজির নেই। বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রোড সেফটি-সংক্রান্ত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাংকের ‘ডেলিভারিং রোড সেফটি ইন বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও শ্রীলংকায় চলাচলরত প্রতি ১০ হাজার বাসের বিপরীতে বাস সম্পৃক্ত দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে যথাক্রমে ৮৭ ও ৮ জন ব্যক্তির।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে বাসের দায় ২৬ শতাংশ হলেও বিশ্বের অন্য কোনো দেশে তা ১৫ শতাংশের বেশি নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গে¬াবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০১৮’ প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী বাস দুর্ঘটনাপ্রবণ অন্য দেশগুলোর মধ্যে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়ায় এ হার ১৫ শতাংশ। এছাড়া ঘানায় ১৩ শতাংশ, কাতারে ১২, বারবাডোজে ১১, মালিতে ১০, আইভরি কোস্টে ৮ ও কিউবায় ৭ শতাংশ। উন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ হার কমবেশি ১ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হ্রাস টানার পাশাপাশি বাস দুর্ঘটনা কিভাবে কমানো যায় এ নিয়েও ভাবনা জরুরি।
পাঁচ.
দেশে জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা সড়কের বিপরীতে কত যানবাহন চলতে পারে এর ধরণের কোন হিসাব ছাড়াই যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন রাস্তায় নামছে পাঁচ শতাধিক নতুন যানবাহন। নিবন্ধিত ৫৪ লাখ যানবাহনের মধ্যে ৭০ ভাগই হলো মোটরসাইকেল। প্রায় ৪০ ভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে এই যানে। বিপজ্জনক এই যানে একটি দেশের মূল জনশক্তি হিসেবে বিবেচিত তরুণদের মৃত্যু আশঙ্কাজনক বাড়ছে। যা সত্যিই বড় রকমের উদ্বেগের কারণ। তাই এই মৃত্যুযান নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই।
সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে দু’দফা আন্দোলনের পর সরকার সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে পরামর্শ দিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি পুরনো সুপারিশের আলোকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১১১ দফা সরকারের কাছে জমা দেয়। সুপারিশে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী নানামুখি প্রকল্প নেয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের কথা ছিল।
সেসব কাজ কতোদূর? সড়ক মহাসড়কে দুর্ঘটনার চিত্র কিন্তু সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়েছে বা হচ্ছে তা বলছে না। অর্থাৎ সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে মাঠের অবস্থাই প্রমাণ দিবে। দুর্ঘটনা কমবে। তা হয়নি। কয়েকটি মহাসড়কে রাস্তার বাঁক সোজা করা ছাড়া কাজের কাজ কিছু হয়েছে বলে জানা নেই।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেসব নির্দেশনা সপ্তাহ খানেক বাস্তবায়নের পর ডীপ ফ্রিজে চলে গেছে। তাহলে কী সড়ক দেখার কেউ নেই। নিরাপদ সড়ক নিয়ে কোন সিদ্ধান্তই আর আলোর মুখ দেখবে না, তা হয় না। অবশ্যই এ বিষয়ে গুরুত্বেও সঙ্গে কাজ করা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হলো সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এখন পর্যন্ত পুরোপুরি কার্যকর করা গেল না। আইনের শাস্তিযোগ্য প্রায় ২৯টি ধারা নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে পরিবহন মালিকও শ্রমিক নেতারা। সরকার ভয়ে সেগুলো বছরের পর বছর ধরে সংশোধনের জন্য তালাবন্ধি করে রেখেছে। এর সুরাহা চাই। শোনা যাচ্ছে সড়ক আইনে অপরাধীর মৃত্যুদ-ের কোন বিধান থাকছে না। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে এটি কতোটুকু সঠিক সিদ্ধান্ত তা সময়েই বলবে।
কথা হলো সড়ক নিরাপত্তার জন্য সব সিদ্ধান্তই কী একসঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। মোটেই না। কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলেই কিন্তু পরিস্থিতির দৃষ্যমান উন্নতি ঘটানো যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, সবার আইন মানা বাধ্যতামূলক করতে হবে অর্থাৎ আইন সমার জন্য সমান। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোন যানবাহন চলতে দেয়া যাবে না। নিষিদ্ধ যান চলাচল বন্ধ ও উৎপাদন বন্ধের বিকল্প নেই। মোটরসাইকেল চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা। চালক ও শ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও ট্রাফিক আইন, দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করা, সড়কের সাইন সিগন্যাল সম্পর্কে আলাদা প্রশিক্ষণ। সড়কের কারিগরি ত্রুটি দূর করা ও রাস্তা সংস্কার করতে হবে। স্পীড গান বাড়ানো সহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্রুত গতির যান চলাচল রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। সড়কে সিসিটিভি স্থাপন সহ মনিটরিং জোড়দার করা।
জনবল বাড়িয়ে বিআরটিএ কে শক্তিশালী করার পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম আরো স্পষ্ট করা। সড়ক মহাসড়কের দু’পাশে অবৈধ বাজার সহ সব রকমের স্থাপনা উচ্ছেদ করা। নাগরিক সচেতনতা রোধে সভা, সেমিনার, পথনাটক, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ সহ নানাবিধ প্রচার কার্যক্রম হাতে নেয়া। মর্যাদা বাড়িয়ে শিক্ষিত বেকারদের চালকের পেশায় নিয়োগ দেয়া। পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে ওয়েবিল নৈরাজ্য। আইন অমান্যকারী চালকের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা এমনকি চালকের লাইসেন্সের পয়েন্ট কাটা প্রয়োজন। বেপরোয়া পথচারীদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। জনবহুল এলাকায় রাস্তা পারাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা জরুরী।
প্রয়োজনে পাঠ্যপুস্তকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা মূলক বিষয় যুক্ত করা যেতে পারে। যেখানে সেখানে গাড়ি থামানো বন্ধ, পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বোপরী সড়ক আইন-২০১৮ কার্যকর করতে হবে। চুক্তিতে গাড়ি চালানো বা দিন ভিত্তিক ভাড়ায় চালকদের গাড়ি দেয়া নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। সবচেয়ে বড় কথা সড়ক নিরাপত্তার প্রশ্নে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের কোন বিকল্প নেই। রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ছাড়া সড়ক দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না।
নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে হাত গুটিয়ে বসে থাকার কিন্তু কোন সুযোগ নেই। সড়ক যেমন নিরাপদ করতে হবে তেমনি গণপরিবহন বাড়িয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমানোর চিন্তা মাথা থেকে ছেড়ে ফেলে দিলে চলবে না। দুটি কাজই কঠিন। তাই বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ বা বাঁধা আসবে। কিন্তু একটি দেশের মেগাসিটি ঢাকার অবস্থান যদি সবসময় যানজটের শীর্ষে থাকে তবে শহরের মানুষের দুর্ভোগেই বাড়ে না, আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। তাছাড়া দুর্ঘটনা হ্রাস টেনে ধরতে না পারলে আগামী দিনের বাংলাদেশ আরো বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট