মিথুন আশরাফ – মহা বিপাকে থাকে ব্রাজিল। আক্রমনভাগের তারকা ফুটবলার নেইমার, গ্রেবিয়েল জেসুস, রক্ষণভাগের দানিলো ইনজুরিতে থাকেন। তবে খেলার আগেই সুখবর মিলে। নেইমার ও দানিলো খেলবেন নিশ্চিত হয়। তাতে ব্রাজিল দল অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে ব্রাজিল। ৪-১ গোলে জয় পায় ব্রাজিল। ব্রাজিলের ভিনিসিয়াস জুনিয়র, পেনাল্টি থেকে নেইমার, রিচারলিসন, লুকাস গোল করেন। দক্ষিন কোরিয়ার পাইক গোল করেন।
পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথমবার লড়াই করতে নেমে উড়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। বিদায় নেয়। এখন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৯ ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল।
খেলার ৭ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়র গোল করে ফেলেন। ব্রাজিল ১-০ গোলে শুরুতেই এগিয়ে যায়। ১৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। নেইমার গোল করে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন। ২৯ মিনিটে রিচারলিসনও একটি গোল করেন। ব্রাজিল ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। ৩৬ মিনিটে লুকাস গোল করে ব্যবধান ৪-০ করেন। পাত্তাই পায়না দক্ষিণ কোরিয়া। এক হালি গোল খেয়ে বসে। প্রথমার্ধে চার গোলই হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ৭৬ মিনিটে দক্ষিন কোরিয়া একটি গোল করে। পাইক গোলটি করে ব্যবধান খানিক কমান (৪-১)।
গ্রুপ পর্বে ব্রাজিল প্রথম দুটি ম্যাচেই জিতেছে। তাতে করে শেষ ষোলতে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে। সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারানোর পর সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েই শেষ ষোলতে খেলা নিশ্চিত করে। তবে ক্যামেরুনের কাছে ০-১ গোলে হেরে যায়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তবুও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রুপ সেরা হয়। শেষ ষোলতে সহজেই জয় তুলে নেয়।
দক্ষিণ কোরিয়া ভাগ্যগুনে শেষ ষোলতে ওঠে। উরুগুয়ের সমান ৪ পয়েন্ট, সমান গোল, হেড টু হেড একই ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের সাথে গোলশূন্য ড্র করার পর ঘানার কাছে ২-৩ গোলে হারে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয়। উরুগুয়ের সমান সব থাকার পরও দক্ষিণ কোরিয়া শেষ ষোলতে ওঠে। কারণ, ফেয়ার প্লে’তে কার্ড কম খায় দক্ষিণ কোরিয়া। শেষ ষোলতে ব্রাজিলের সামনে টিকতে পারেনি।
এর আগে পরস্পরের বিপক্ষে সাতবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া। ব্রাজিল জিতে ছয়টি ম্যাচ। এশিয়ান দলটির একমাত্র জয় ১৯৯৯ সালে প্রীতি ম্যাচে। চলতি বছরের জুনে প্রীতি ম্যাচে দুই দলের সবশেষ সাক্ষাতে ব্রাজিল জিতেছিল ৫-১ গোলে। বিশ্বকাপে এবারই প্রথম মুখোমুখি হয় দল দুটি। তাতে ব্রাজিলই জিতে। এবার ৪-১ গোলে এশিয়ান দলটিকে উড়িয়ে দেয় ব্রাজিল।
একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে খেলে ব্রাজিল। পাঁচবার চ্যাম্পিয়নও হয় তারা। সবশেষ ২০০২ সালে শিরোপা জেতার পর আর ফাইনালে যেতে পারেনি তারা। ২০০২ বিশ্বকাপে সহ-আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়া সেমি-ফাইনালে খেলেছিল। বৈশ্বিক আসরে এশিয়ার কোনো দলের সেরা সাফল্য এটি। এবারের আগে ২০১০ সালে নকআউট পর্বে খেলেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সেবার শেষ ষোলোয় তাদের ২-১ গোলে হারায় উরুগুয়ে। দুই আসর পর আবার দক্ষিণ কোরিয়া নকআউট পর্বে খেলছে। এবার তারা নকআউটে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়। ম্যাচটিতে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে ব্রাজিল।