Search
Close this search box.

বিজয় নিশান উড়ছে ঐ…

বিজয় নিশান উড়ছে ঐ...

মিথুন আশরাফ

 

বিজয় নিশান উড়ছে ঐ
খুশির হাওয়ায় ঐ উড়ছে
উড়ছে… উড়ছে… উড়ছে…

কালজয়ী এক গান। যা এখন একটু ঘুরিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের যে কালজয়ী উন্নয়ন চিত্র, তার সঙ্গে মিলিয়ে গাওয়া যায় খুব সহজেই।

উন্নয়নের নিশান উড়ছে ঐ
খুশির হাওয়ায় ঐ উড়ছে
উড়ছে… উড়ছে… উড়ছে…

মহান বিজয় দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের সবচেয়ে গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয়। দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়। আজ বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে দেশ। সেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যখন চূড়ান্ত বিজয় লাভ হয়, তখন বিপ্লবী গানের তাড়না থাকে। কিন্তু সময়টি যে আবার আনন্দের। লাখো মানুষের প্রাণ গেলেও একটি দেশ পাওয়ার উল্লাসের। এই সময় অন্য কোনো গান চলে? কী করা যায়? এই ভেবে তাৎক্ষণিক রচনা করা হলো একটি গান। সেটিই হয়ে গেলো কালজয়ী এক রচনা। বিজয় নিশান উড়ছে ঐ, খুশির হাওয়ায় ওই উড়ছে, উড়ছে… উড়ছে… উড়ছে…

মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই মুক্তিকামী জনতাকে উজ্জ্বীবিত রাখতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। সব গানের ভিড়ে একটু আলাদা রয়ে থাকবে সব সময় ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ গানটি। বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে এই রচনাটি। ১৬ ডিসেম্বর সকালে শহীদুল হক খান গানটি লিখেন। এতে তাৎক্ষণিক সুর দেন সুজেয় শ্যাম। আর কোরাসে গাওয়া গানটি লিড দেন শিল্পী অজিত রায়।

১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী এই দিনে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। সেদিন ঢাকার কেন্দ্রস্থলে রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। তিনি যৌথবাহিনীর প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর উপ-সর্বাধিনায়ক ও ডেপুটি চীফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল করিম খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না। যৌথবাহিনীর আত্মসমর্পনের দিন সকালেই কালজয়ী এই গানটি রচনার সঙ্গে গাওয়াও হয়।

৫১ বছরে পাঁ দিয়ে বাংলাদেশ এখন যে উন্নয়ন পেয়েছে, যে অর্জনগুলো পেয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই হয়েছে। এরআগে এত উন্নয়ন কখনো হয়নি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ যার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত এটি। বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু, স্প্যান সংখ্যা ও মোট দৈর্ঘ্য উভয়ের দিক থেকে গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু এবং ১২০ মিটার (৩৯০ ফুট) গভীরতাযুক্ত বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু। আছে একসাথে ১০০ সেতু উদ্বোধনও। যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এতটা উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গেছেন, যা তার পক্ষেই সম্ভব। শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সমুদ্রে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময় – এতসব অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলেই হয়েছে।

অর্জনের তালিকা আরও দীর্ঘ। আছে – কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫.৬০ শতাংশে উন্নীত করা। আছে বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ – একটি বাড়ি একটি খামার (বর্তমানে আমার বাড়ি আমার খামার), আশ্রয়ণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও আয় বৃদ্ধির কার্যক্রম। ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) সাফল্যের পর ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ। এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় দেশের চিত্র বদলে গেছে।
বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশকে বদলে দিয়েছেন। উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গেছেন। বিশ্ব এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে। উন্নয়ন এতটাই হয়েছে যে এখন বিজয়ের গান উন্নয়নের গানে রূপ নিয়ে সবার কণ্ঠে গুন গুন করে বাজছে।

এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারার গতি আরও বাড়িয়ে দিয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে চাচ্ছেন। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে দেওয়ার যে লক্ষ্য ধরে সরকার কাজ করছে, সেই বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হয়ে উঠবে বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা। আর সেজন্য চারটি ভিত্তি ধরে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে বলেছেন, ‘আ.লীগ ক্ষমতায় আসলেই মানুষের উন্নয়ন হয়। আমরা আগামী ৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আর সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা চলে যাব।’

সেই স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি কী হবে, তা নিয়ে জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটা সিটিজেন, তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে, স্মার্ট সিটিজেন। উইথ স্মার্ট ইকোনমি; অর্থাৎ, ইকোনমির সমস্ত কার্যক্রম আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে করব। স্মার্ট গভার্নমেন্ট; ইতোমধ্যে আমরা অনেকটা করে ফেলেছি। সেটাও করে ফেলব। আর আমাদের সমস্ত সমাজটাই হবে স্মার্ট সোসাইটি।’

তবে দেশ গড়ার স্বপ্নের কথা বলতে বলতেই প্রধানমন্ত্রীর কথায় আসে তার বয়স আর রাজনৈতিক বাধাবিপত্তির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘এখন আমার ৭৬ বছর বয়স। কাজেই বেশিদিন তো আর নেই। যে কোনো দিন অক্কা পেতে পারি। তাই না? যে কোনো দিন চলে যেতে পারি। তার উপর গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা, তারেক জিয়া, খালেদা জিয়া তো আর আমাকে ছেড়ে দেয়নি। বারবার আমার ওপর হামলা করেছে।’
শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বারবার প্রাণে বেঁচে যাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাই ২০২১ থেকে ৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও প্রণয়ন করে দিয়ে গেলাম। অর্থাৎ ২১ থেকে ৪১ কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নটা হবে. তার একটা কাঠামো পরিকল্পনা আমরা প্রণয়ন করে সেটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আমি রেখে যাচ্ছি।’

২০৪১ সালেই শেষ নয়, ২১০০ সালেও এই বঙ্গীয় বদ্বীপ যেন জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়, দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে ‘সুন্দরভাবে, স্মার্টলি’ বাঁচতে পারে, সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান করে দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী বলেন। তবে তা বাস্তবায়নের ভার যে নতুন প্রজন্মকেই নিতে হবে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন সব নির্ভর করছে আমাদের ইয়াং জেনারেশনের ওপর, যুব সমাজের উপর। তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের উন্নতি। এটাই ছিল আমাদের ২০১৮ এর নির্বাচনী ইশতেহার। আমরা সেই কাজটাই করে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি যখন উদযাপন করা হয়, তখনই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। অর্থাৎ ২০০৮ এর যে সিদ্ধান্ত, সেটা আমরা করেছি। পাশাপাশি আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজকে সারা বাংলাদেশেই আমাদের কানেটিভিটি ব্রডব্যন্ড আমরা দিতে পেরেছি। স্যাটেলাইন বঙ্গবন্ধু-১ আমরা উৎক্ষেপণ করেছি। আমরা যা যা করেছি, সবই কিন্তু আমি বলব, আমার ছেলে জয় যদি আমাকে পরামর্শ না দিত, তাহলে হয়ত আমার পক্ষে করা সম্ভব ছিল না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গত ১৪ বছরে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইসিটি অবকাঠামো, কানেকটিভিটি, ই-গভর্নমেন্ট এবং ইন্ডাষ্ট্রি প্রমোশনের ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ গ্রহন করে তার বাস্তবায়ন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলায় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কানেকটিভিটি থাকায় করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও কোনো কাজ ‘থেমে থাকেনি’।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। উন্নত দেশগুলোও তাতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে এরমধ্যেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয় শেখ হাসিনার সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এখনো আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

উন্নত দেশগুলোকেও এ সঙ্কট কতটা ভোগাচ্ছে, সেই বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শীতের দেশ, যেখানে তারা হিটার না জ্বালিয়ে এক মুহূর্ত থাকতে পারে না, আজকে তারা বিদ্যুৎও পায় না। ইউরোপ বা ইংল্যান্ড বা আমেরিকার কোনো কোনো জায়গায় এমন অবস্থা যে গোটা পরিবার একটা রুমে হিটার জ্বালিয়ে সেখানে গিয়ে সারাদিন থাকে। এজন্য যে সেখানে বিদ্যুতের অভাব। আমরা তো তারপরও কিছুদিন আমাদের একটু অসুবিধা হয়েছে। তারপর তো আমরা দিয়ে যাচ্ছি। একেবারে বঞ্চিত কাউকে করিনি। অর্থাৎ, আমরা এই ব্যবস্থাটা করতে পেরেছি। সক্ষমতাটা এসেছে।’ সত্যিই তাই। যে উন্নয়ন হয়েছে, যে অর্জন মিলেছে, তা শেখ হাসিনার বলেই সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার বলেই সম্ভব হয়েছে। আর তাই উন্নয়নের নিশান উড়ছে ঐ…. সবার মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে।

লেখক – সাংবাদিক ও দৈনিক পথে প্রান্তরের চীফ রিপোর্টার

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ