স্পোর্টস রিপোর্টার – বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের ফাইনালে উঠেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফি জাদুতে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে শিরোপার ম্যাচে খেলা নিশ্চিত করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুরকে বিদায় করে দিয়ে বিপিএলে প্রথমবার ফাইনালে উঠে সিলেট।
প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় চলতি আসরের ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে ১৮২ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সুযোগ হাতছাড়া করেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। চলতি বিপিএলের ফাইনালে যেতে শেষ সুযোগ ছিল তাদের সামনে। সেই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে।
অধিনায়ক মাশরাফির মাঠে থাকাই যে জয়ের জন্য যথেষ্ট, সেটি আবারও প্রমাণ হলো। মাত্র ১৬ বলে খেলেন ২৮ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।
শুরুতে মন্থরভাবে রান তোলা রংপুর রান রেট বাড়িয়ে নেয় পুরানের ব্যাটে। মাত্র ১৪ বলে ১টি চার ও ৪টি ছয়ে ৩০ রান করেন পুরান।
এই ক্যারিবিয়ানের বিদায়ের পর অধিনায়ক সোহানকে নিয়ে ৮২ রানের বড় জুটি গড়ে ম্যাচ প্রায় রংপুরের দিকেই টেনে আনেন রনি তালুকদার। কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফির জিয়ন কাঠি এরপর মাঠে এমনভাবেই কাজ করতে থাকে যে, রংপুর মুহূর্তে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায়।
রনি-সোহানের ব্যাটে এক পর্যায়ে ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান ছিল রংপুরের। শেষ ৩ ওভার থেকে ৭ উইকেটে মাত্র ৩৩ রান লাগতো সোহানদের। যা টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত চিত্র।
কিন্তু মাশরাফি আঠারতম ওভারে তানজিম সাকিবকে আনতেই বদলে যায় চিত্র। সোহানকে ৩৩ রানে ফিরিয়ে ম্যাচ রংপুর থেকে ছিনিয়ে নিতে শুরু করে সিলেট তখন থেকেই। একই ওভারে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন রনিও।
আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটসম্যান করেন ৬৬ রান। এরপর ডোয়াইন ব্রাভো, দাসুন শানাকা, শেখ মাহেদী এসেও রংপুরকে টেনে তুলতে পারেনি।
সিলেটের পক্ষে লুক উড ৪ ওভার থেকে ৩৪ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট নেন। তানজিম সাকিব তো ৪ ওভার থেকে দেন মাত্র ১৯ রান। তুলেও নেন ২ উইকেট। রুবেল হোসেনও নেন ২ উইকেট, কিন্তু খরচ করেন ৪২ রান।
নয় আসরের চারটিতেই অধিনায়ক মাশরাফি দলকে শিরোপা জেতান। এবার পঞ্চমবারের মতো শিরোপা উচিয়ে ধরার কাছে মাশরাফি।