স্পোর্টস রিপোর্টার – ‘ফাইনালের প্রতিপক্ষ (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স) আমাদের চেয়ে অনেক অনেক ভালো। এর মানে এই নয় যে আমরা ভালো খেলতে পারব না। আমি আশা করি, দলের সবাই আরও একটা ম্যাচ ভালো খেলবে।’-কথাগুলো বলেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগামীকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের ফাইনালে লড়াই করবে সিলেট। জিতলেই প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতবে সিলেট। প্রথমবার সিলেটকে ফাইনালে তোলা মাশরাফিও অধিনায়ক হিসেবে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিতবেন। এরআগে কুমিল্লাকে যেন হুমকিই দিয়ে রাখলেন মাশরাফি। এরআগে চারবার শিরোপা জেতা মাশরাফি এবারও শিরোপা জিততে চান।
এরআগে অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলের প্রথম আসরেই ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন হন মাশরাফি। তখন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে শিরোপা জেতান। যে দলটি দ্বিতীয় আসরেও ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায়। এবারও মাশরাফির নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি হারায়। একবছর বিরতিও পড়ে বিপিএলে। নতুনভাবে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি নেয়া হয়।
তৃতীয় আসরেও ২০১৫ সালে মাশরাফিই শিরোপা উচিয়ে ধরেন। এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতান মাশরাফি। হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতেন মাশরাফি। চতুর্থ আসরে আর শিরোপা জিততে পারেননি মাশরাফি। পঞ্চম আসরে ২০১৭ সালের বিপিএলে আবার মাশরাফি শিরোপা পুনরুদ্ধার করেন। এবার রংপুর রাইডার্সকে শিরোপা জেতান। এরপর তিন আসর গেছে, কিন্তু মাশরাফি ঝুলিতে আর শিরোপা যায়নি। এবার তার সামনে পঞ্চম শিরোপা জেতার সুযোগ ধরা দিয়েছে। মাশরাফি কি পারবেন পঞ্চমবারের মতো শিরোপা উচিয়ে ধরতে?
সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাপোর্টারদের হৃদয় নিংড়ানো সমর্থনে অভিভূত মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই সিলেটের দর্শকরা ভালো কিছু প্রত্যাশা করেন। এবার শুরুর দিকে যখন এক-দুই ম্যাচ আমরা জিতি, তখন থেকেই সিলেটের সমর্থন পেয়েছি। এমন নিরঙ্কুশ সমর্থন আমি বিপিএলে আর দেখিনি। অন্য দলের হয়েও খেলেছি আমি। কিন্তু এত সমর্থন দেখিনি।’
যতবারই ফাইনাল খেলেছেন, শিরোপা জিতেছেন মাশরাফি। মাশরাফি জাদুতেই জয় এসেছে। এবারও কি তাই হবে? মাশরাফি বলেন, ‘আমার কোনো ম্যাজিক নেই। সবই আল্লাহর রহমত।’
৩৯ বছর বয়সী এই তারকা জানান, শরীর সায় দিলে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আমার জাতীয় দলে খেলার ইচ্ছা নেই। আমি যতক্ষণ উপভোগ করছি, যতক্ষণ শরীর সায় দেবে, আমি খেলব। আমি বলে খেলা ছাড়ার লোক না। প্রেস কনফারেন্স করে ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। যদি টুর্নামেন্টের মাঝে মনে হয় খেলব না, তবে খেলব না। এমন আলোচনা আপাতত গ্রাহ্য করার দরকার আছে বলে মনে করি না।’