মিথুন আশরাফ – বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি হাকান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সাত হাজার রান করা মুশফিক ৬০ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ১০০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাকান। বাংলাদেশেও রেকর্ড ৩৪৯ রান করে। কিন্তু বৃষ্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। নিশ্চিত জেতা ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে গেল। প্রথম ওয়ানডে ১৮৩ রানে জিতে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিততে পারলে সিরিজ জয় হয়ে যেত। এখন বৃহস্পতিবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে জিতেই বাংলাদেশকে সিরিজ জিততে হবে। হারলে সিরিজ ১-১ ড্র হয়ে যাবে।
মুশফিকের নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরির সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর ৭৩, লিটন কুমার দাসের ৭২ ও তাওহিদ হৃদয়ের ৪৯ রানে ৩৪৯ রান স্কোরে যোগ করে বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে এই রান করে বাংলাদেশ। দেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাকান মুশফিক। নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাকান। তাতে করে বাংলাদেশও নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে। আয়ারল্যান্ডের ইনিংস যখন শুরু হবে, তখন বৃষ্টি পড়া শুরু হয়ে যায়। তাতে করে বৃষ্টিতে খেলা পন্ড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। শেষপর্যন্ত বৃষ্টি আর থামেনি। তাতে করে রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত নৈপুন্যের শুরুটা অবশ্য লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়েই হয়। দুইজনেই অসাধারণ ব্যাটিং করেন। লিটন ৭২ ও শান্ত ৭৩ রান করেন। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল (২৩) দলের ৪২ রানে আউট হন। ৩৫তম জন্মদিনের দিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান করে আউট হন তামিম। এরপর লিটন ও শান্ত মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন। দলকে ১৪৩ রানে নিয়ে লিটন আউট হন। এরপর সাকিব আল হাসান (১৭) ব্যাট হাতে নেমে ঝলক দেখাতে পারেননি। তবে তাওহিদ হৃদয় (৪৯) এদিনও ব্যাটিং দ্যুতি ছড়ান। দলের ১৮২ রানে সাকিব ও ১৯০ রানে শান্ত আউটের পর হৃদয় ও মুশফিক মিলে যে এগিয়ে যেতে থাকেন, ৩০০ রানের স্কোর গড়ে ফেলেন। যখন দলের ৩১৮ রান হয়, তখন হৃদয় আউট হয়ে যান। পঞ্চম উইকেটে হৃদয় ও মুশফিক মিলে ১২৮ রানের জুটি গড়েন। যা দলকে সহজেই বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যায়। শেষে ইয়াসির আলী রাব্বি (৭) দ্রুত আউট হলেও মুশফিক দলকে ৩৪৯ রানে নিয়ে যান। অপরাজিতও থাকেন মুশফিক।
সিরিজের প্রথম ম্যাচেই নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ৩৩৮ করে টাইগাররা। ১৮৩ রানের রেকর্ড জয়ও পায়। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের রেকর্ডই ভাঙে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। মুশফিক এই সেঞ্চুরিকে পেছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়েন। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক গড়েন মুশফিক। ২০২১ সালের মে মাসে সবশেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। প্রায় ২ বছর পর আবার সেঞ্চুরি হাকান মুশফিক। সেটি আবার দ্রুততম সেঞ্চুরি। তাতে বাংলাদেশের রেকর্ড রান হয়। কিন্তু ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যায়।