চাঁদপুর প্রতিনিধি: টানা চার দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে চাঁদপুরে। বাড়ছে জলাবদ্ধতা ও নোয়াখালী-কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুর থেকে নেমে আসা বন্যার পানি। জেলার শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানি বাড়লেও ফরিদগঞ্জে সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ থাকায় জলাবদ্ধতা কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টিপাত বাড়লে বাড়বে আরও দুর্ভোগ। তিন উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে।
শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসীর আরাফাত জানান, শাহরাস্তিতে ছয়টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামে পানিতে ডুবে আছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, হাজীগঞ্জে চারটি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামে বন্যার পানি প্লাবিত। নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ও পানি বন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ডাকাতিয়া নদী দিয়ে পানি নামছে। শিগগিরই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে পানিবন্দি ১৮ হাজার মানুষ
হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা জুয়েল রানা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন তারা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আনিছুর রহমান সুজন বলেন, পানি কিছুটা কমেছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি না কমলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
এদিকে কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা মঞ্জুর আহমেদ সেলিম জানান, তাদের ১১ নম্বর গোহাট ইউনিয়ন ও ১২ নম্বর আশ্রাফপুর ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হেদায়েতুল্লাহ বলেন, চাঁদপুরে এরই মধ্যে ৬৪টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে আছেন। প্রশাসন থেকে ২১৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকা