স্পোর্টস ডেস্ক: ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামেন হাসান মাহমুদ। সাদা পোশাকে এর আগে তিন টেস্টের দুটি খেলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। ঐতিহাসিক সেই সিরিজের শেষ ম্যাচের শেষ ইনিংসে নিয়েছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। পাকিস্তান পর্ব শেষে ভারতে এসেও উজ্জ্বল হাসান। পাকিস্তানে ঠিক যেখান থেকে শেষ করেছেন, ভারতে শুরুটাও সেখান থেকে।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে। টস জিতে বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৯৮২ সালের পর এই মাঠে টস জিতে বোলিং নেওয়ার প্রথম ঘটনা এটি।
অধিনায়কের এমন সাহসী সিদ্ধান্তকে বৃথা যেতে দেননি হাসান। অন্তত রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা মিলে টেস্টের প্রথমদিন ভারতময় করে তোলার আগ পর্যন্ত সময়টা ছিল বাংলাদেশের। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, হাসান মাহমুদের। ৩৪ রানে প্রথম তিন উইকেট হারায় ভারত। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শুভমান গিল—ব্যাটিংয়ের তিন বিভীষণকে সাজঘরে ফেরান হাসান একাই।
প্রথমে রোহিতকে অধিনায়ক শান্তর ক্যাচ বানান হাসান। গিল ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে। বিরাট কোহলিও লিটনকেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের তিন স্তম্ভ গুঁড়িয়ে বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসান হাসান। এরপর অবশ্য ৬২ রানের জুটি গড়ে ঋষভ পন্ত ও যশস্বী জাইসওয়াল ভারতকে কিছুটা স্বস্তির জায়গায় নিয়ে যান। স্বস্তিতে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি ভারতীয়রা। আবারও হাসানের আঘাত। এবার শিকার পন্ত, উইকেটের পেছনে সেই লিটনের হাতে ধরা।
চেন্নাইয়ের পিচে পেসারদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা আছে। বাউন্স, গতি, লাইন—সবমিলিয়ে সেই সুযোগটা কাজে লাগান হাসান। সেঞ্চুরিতে অশ্বিন দিন শেষে ভারতকে চালকের আসনে বসালেও বাংলাদেশের প্রাপ্তি হাসানই। ১৮ ওভারে চার মেডেনসহ ৫৮ রানে চার উইকেট নেন। টেস্টের প্রথমদিনে বাংলাদেশের সফল বোলার তিনি। কাল সকালে দ্বিতীয় দিন শুরুর পর হাসানের সামনে সুযোগ থাকবে আরও একটি ফাইফারের। প্রয়োজন কেবল এক উইকেট।