স্টাফ রিপোর্টার: বানের জলে ডুবে যাওয়া আমনের ফসল নিয়ে যখন দিশেহারা কৃষক, ঠিক তখনি তাদের পাশে আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছেন চাঁদপুরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নতুন করে বীজতলা তৈরির জন্য নিজেদের খেলার মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন তারা। পুনরায় বীজতলা তৈরির সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত কৃষকরা।
ভারী বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ডুবে আছে রোপা আমনের ক্ষেত। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এমন দশা চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফসলি জমির। কৃষকের এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নতুন করে বীজতলা তৈরির জন্য নিজেদের খেলার মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন তারা।
সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়টা মোকাবিলা করার জন্য, মানুষের উপকারে অল্প সময়ের জন্য এটি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বীজতলা প্রস্তুত হয়ে যাবে। বৃহৎ স্বার্থে আমাদের এই সিদ্ধান্ত। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেরও সম্মতি ছিল।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এমন মহানুভবতায় উচ্ছ্বসিত কৃষকরা। তারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে জমির বীজতলা পুরোপুরি নষ্ট হওয়ায় হতাশ ছিলেন তারা। কিন্তু পুনরায় বীজতলা তৈরির সুযোগ পাওয়ায় দেখছেন আশার আলো।
কৃষকরা জানান, স্কুলে মাঠে বীজতলা করা হয়েছে। এখানেই এখন কাজ করতে হচ্ছে। সরকার থেকে বীজ দিয়েছে কিন্তু কোন জায়গায় বীজ তলা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছিল না।
জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে তাদের বীজ, সার ও নগদ এক হাজার টাকা করে সহায়তা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
চাঁদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মেদ সিদ্দিকী বলেন, আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে তারা যেনো উঁচু জায়গায় বা স্কুল মাঠে বা যেখানেই সম্ভব সেখানেই যেনো বীজতলা তৈরি করে। আশা করা যায় এভাবে বীজতলা তৈরি করতে পারলে দেরি হয়েও রোপা-আমন ধানের কাঙ্ক্ষিত ফল আমরা পাবো।