Search
Close this search box.

ভোটারদের কাছে আমাকে যেতে দিচ্ছে না: হিরো আলম

ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) বলেছেন,আজকে মহাখালী সাততলা বস্তিতে প্রচারে গিয়েছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী বস্তির গেইটে দাঁড়িয়ে বলল তোমরা ঢুকতে পারবে না। এখানে তোমরা ঢুকতে পারবে না। আরাফাত (নৌকার প্রার্থী) ভাইয়ের ভোট করবো (প্রচার চালাবো)। এর পর আমরা যখন ঢুকতে চাচ্ছি তখন মহিলারা আমাদের গায়ে হাত তুললো। একজন কর্মী এখন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। আজকে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে দিল না। ভোটের দিন আমাকে ভোট দিতে দেবে এ বিশ্বাস হারিয়ে গেছে।

বুধবার (৫ জুলাই) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আগে সাততলা বস্তিতে প্রচার চালাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে তিনি লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দাখিল করেন।

আলোচিত এ ইউটিউবার বলেন, তারা ইট মেরেছে, জুতো মেরেছে, গায়ে হাত তুলেছে। তারা বুঝাচ্ছে যে নৌকা ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেবে না। আজকেই যদি এমন পরিস্থিতা হয়, তাহলে ভোটের দিন ডাইরেক্ট বলবে নৌকা ছাড়া কোনো ভোট হবে না। ডাইরেক্ট নৌকায় সিল মারবে। আজকে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে দিল না। ভোটের দিন আমাকে ভোট দিতে দেবে এই বিশ্বাস হারায়ে গেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বতন্ত্র এ প্রার্থী বলেন, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি আমরা জানের নিরাপত্তা দেখতেছি না। আমি না হয় আমার জানের মায়া করলাম না। কিন্তু আজকে আমার একটা কর্মী হাসপাতালে। আমি তো চাই না হিরো আলমের জন্য কোনো মায়ের বুক খালি হোক। আপনারা জানেন, এ নির্বাচন নির্বাচন করে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার আশায়। কিন্তু তারা ক্ষমতায় ঠিকই আছে, কিন্তু মা তার সন্তানকে ফিরে পায়নি। এর রকম ঘটনা যদি হয়, আমার কর্মী যদি মারা যায়, তাহলে কী হবে!

পরবর্তীতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কর্তৃপক্ষকে দেবো। তারা যা নির্দেশনা দেবেন তাই হবে। মৌখিকভাবে বলেছেন তিনি, যে প্রচার চালাতে দেনননি। আঘাতও করেছে। আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়েছে কিনা আমরা সেটা দেখবো।

তিনি বলেন, অভিযোগ তো মাত্র পেলাম। তদন্ত করবো, তারপর ব্যবস্থা নেবো।

হিরো আলম ফোন করে তাকে পায়নি এমন অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আমি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ছিলাম। আরও দুটো নম্বর দেওয়া আছে, সেখানে ফোন দিতে পারবেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন সব ব্যবস্থা আমরা নেবো।

আগামী ১৭ জুলাই এ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আকরব হোসেন পাঠান ফারুক মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ