Search
Close this search box.

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি: বাড়ছে দুর্ভোগ, দৃশ্যমান ক্ষতচিহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ছন্দ পতন হয়েছে জনপদের। জেলার ১৬ লাখ মানুষের মধ্যে সাড়ে ১১ লাখ মানুষই বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। সাময়িক বন্যা ফুলগাজী-পরশুরাম এলাকা হলেও এবারের বন্যায় জেলার প্রতিটি উপজেলা প্রভাব পড়েছে। এলাকাগুলোতে দ্রুতগতিতে পানি ঢুকলে ও নামছে ধীরগতিতে।

জেলার দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার কিছু অংশে লোকালয়ে এখনো পানি থাকলেও অন্যান্য উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেছে। পানি কমাতে দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। জেলাত অনেক এলাকায় খাদ্য, নিরাপদ পানির সংকট ও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বানভাসি মানুষের ভোগান্তি এখনো কমেনি। কোথাও ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট, ভেঙে গেছে মানুষের ঘরবাড়ি। তলিয়ে গেছে মাছ ও ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর, মোটবী, কালিদহ ও কাজীরবাঘ ইউনিয়ন, দাগনভূঞা, সোনাগাজীর ও ছাগলনাইয়া উপজেলার অধিকাংশ সড়কে ও গ্রামে পানি রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এছাড়া মানুষের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। সড়কের কোথাও কোথাও পানি থাকাতে যানচলাচল ব্যহত হচ্ছে। ফলে ট্রলি ও ট্রাকে করে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন মানুষ।

ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বলেন, বন্যার পানি বাড়ি থেকে নেমেছে তবে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়নি। কোথাও কোথাও রাস্তা ভেঙে গেছে। বাজারে যাওয়ার মত অবস্থা নেই। চুলায় রান্না করা যাচ্ছেনা।

ফেনী সদর উপজেলার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন তালুকদার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ১১দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। নেটওয়ার্ক না থাকায় স্বজনদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। গ্যাস সংকট আবার চার্জ দিতে না পারায় সিএনজি- ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোও বন্ধ রয়েছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‍্যাব এবং ছাত্র-জনতার চেষ্টায় উদ্ধার এবং খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে খাবার পাঠানো হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ