স্টাফ রিপোর্টার: মিয়ানমারের রাখাইনে বিমান হামলা ও ভারী গোলা বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত। এতে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সীমান্তের বাসিন্দারা। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর ৪টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ আসতে থাকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত টানা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা মো. আলমগীর আকাশ জানান, মিয়ানমারের চলমান যুদ্ধে আরাকান আর্মি গত ১০ মাসে রাখাইনের অধিকাংশ সেনা ক্যাম্প ও বিজিপির সীমান্ত চৌকি দখল করে নেন। এখন এসব দখলের পরে আরাকান আর্মি রাখাইনের মংডু শহর পুরোপুরি দখল নিতে হামলা চালাচ্ছেন। অপরদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীও শহরটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাল্টা বিমান হামলা ও ভারী গোলাবর্ষণ করছেন। শুক্রবার মধ্যরাতেও যুদ্ধ বিমানের শব্দ শোনা গেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধ চলতেছে। ওই যুদ্ধে বিকট শব্দের পাশাপাশি টেকনাফ সীমান্তে ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। এতে আমিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
সীমান্তে বাসিন্দাদের তথ্য মতে রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী এখন আকাশ যোগে হামলা করছে। আরাকান আর্মিও মংডু শহর পুরোপুরি দখল করতে পাল্টা হামলা করছেন।
ইউএনও আরও বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির পাশাপাশি টহল জোরদার রাখা হয়েছে।