আমদানি খরচ কমাতে বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খরচ কমাতে বিদেশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট প্রয়োজনীয়তায় ইনভয়েসের বিপরীতে ডলারের মূল্য সীমা বাড়ানো ও ব্যাক টু ব্যাক এলসিতে লেনদেন জটিলতা কমানোসহ নতুন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এখন আমদানি সহজ হবে, খরচ কমবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক দুটি সার্কুলারের মাধ্যমে আমদানিতে এসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, ইনভয়েসের বিপরীতে ডলারের মূল্য সীমা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে সরাসরি বিদেশ থেকে ইস্যু করা প্রো ফর্মা ইনভয়েসের বিপরীতে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানির জন্য বিদেশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট প্রয়োজন হবে না। স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ইনডেন্টের বিপরীতে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের আমদানির জন্যও এসব রিপোর্ট লাগবে না। আগে প্রো ফর্মা ইনভয়েসের বিপরীতে ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ইনডেন্টের বিপরীতে ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
একসঙ্গে ৩৩ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে হলেন মহাব্যবস্থাপক
ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট মেয়াদ থাকার মধ্যে একবার নেওয়া যাবে। ব্যাংকগুলো একটি রিপোর্টের জন্য একাধিকবার সংগ্রহ খরচ পরিশোধ করতে পারবে না। ব্যাংকগুলো ওই সরবরাহকারীর কাছ থেকে আমদানি করা সব আমদানিকারকের জন্য রিপোর্টটি ব্যবহার করতে পারবে।
নির্দেশনায় , ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকদের জন্য যুক্তিসংগত সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। অন্য ব্যাংক থেকে আমদানিকারকরা যে ক্রেডিট রিপোর্ট নিবে সেটিও গ্রহণযোগ্য হবে।
অপর এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ লেনদেন পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে এলসি সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগের জন্য ইলেকট্রনিক অপশন প্রবর্তনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে করে এলসি ট্রান্সমিশন, অ্যাডভাইজিং, উপস্থাপনসহ অন্যসব যোগাযোগ ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় করতে পারবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি ক্রেডিট রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য ২০০ মার্কিন ডলারের অধিক ব্যয় হয়। ক্রেডিট রিপোর্ট সংগ্রহের লিমিট বাড়ানো এবং একই রিপোর্ট বার বার ব্যবহারের ফলে আমদানি ব্যয় কিছুটা কমবে। অন্যদিকে ব্যাক টু ব্যাক ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে লেনদেনের জটিলতা কমবে।