আন্তর্জাতিক ডেস্ক – ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার হয়ে গেছে। ৭ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে মৃত্যু। সময় যত যাচ্ছে নিখোঁজদের উদ্ধারের সম্ভাবনাও কমে আসছে। মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই দুর্যোগে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে উদ্ধার কার্যক্রমও ধীর হয়ে আছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, তুরস্কের ১০ প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান। তবে দেশটির বাসিন্দারা ধীর উদ্ধার অভিযান নিয়ে অসন্তোষ জানাচ্ছেন। ১৯৯৯ সালের পর এটিই দেশটির সবথেকে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এমন স্থানে এই ভূমিকম্প হয়েছে যা ভূমিকম্পপ্রবণ হিসেবে পরিচিতও না। তাই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবেলায় তেমন প্রস্তুতিও ছিল না। ভূমিকম্পে সীমান্তের দুই পাশে হাজার হাজার ভবন ভেঙে পড়েছে।
আবার রাতের বেলা ভূমিকম্প হওয়ায় অনেকেই ঘুম থেকে উঠে দ্রুত বাইরে বের হতে পারেননি। তারা সকলেই চাপা পড়েছেন। এখন সময় যত গড়াচ্ছে, তাদের জীবিত উদ্ধারের আশাও কমে আসছে। ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়তেই থাকায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। শুধু তুরস্কে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৫৮৯৪ জনে। এছাড়া দেশটিতে আহত হয়েছেন ৩৫ হাজার জন। এরদোগান বলেন, বিপন্ন ভূমিকম্প কবলিত জোনে আছে দেশটির কমপক্ষে ১০টি শহর। সাহায্যের নিশ্চয়তা পেয়েছেন ৭০টি দেশ থেকে। তিনি গৃহহীন মানুষদের অস্থায়ী আবাস হিসেবে আন্তালয়ার হোটেলগুলোকে ব্যবহারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।