Search
Close this search box.

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম টানা কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার- বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম টানা তিন দিন কমেছে। বুধবার পণ্যটির দাম প্রায় ২ শতাংশ কমেছে। এ দিন সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দর ১ ডলার ৭০ সেন্ট কমে ৮৩.০৭ ডলারে নেমে আসে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আরেক ব্র্যান্ড ডব্লিউটিআই ১ ডলার ৬৪ সেন্ট কমে হয় ৭৯.২২ ডলার। খবর রয়টার্সের।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, চীনের ‘শূন্য কোভিড নীতি’ বিশ্বের জ্বালানি তেলের বাজারে একটা সময়ে সংশয় তৈরি করেছিল। কিন্তু তার থেকে বেরিয়ে এসে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে বেইজিং। কিন্তু সেই খবরও তেলের বাজারকে আশ্বস্ত করতে পারেনি। মাসখানেক বাড়লেও চলতি সপ্তাহে ফের নিম্নমুখী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। গত সোমবার থেকে টানা তিন দিন বিশ্ববাজারে পণ্যটির দর কমেছে।

বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং তার জেরে আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে ধাক্কার আশঙ্কাই এর প্রধান কারণ। এ ছাড়া দাম কমলে জ্বালানি তেল আমদানিকারক বড় দেশগুলোর খরচ কমবে ঠিকই, কিন্তু অর্থনীতির শ্লথ হওয়ার আশঙ্কা উদ্বেগের।

গত ১৭ মার্চ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমে দাঁড়িয়েছিল ব্যারেলপ্রতি ৭২.৪৭ ডলার। তারপর থেকে ফের শুরু হয় মূল্যবৃদ্ধি। গত সপ্তাহে তা ৮৭ ডলার ছাড়ায়। ফলে বিশ্ববাজারে আশঙ্কা বাড়তে থাকে জ্বালানির দাম ঘিরে। সেটি আরও বাড়লে অদূর ভবিষ্যতে ফের মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়বে কি না, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। ইতিমধ্যে চীনে কোভিড নীতি শিথিল হওয়া এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করলেও অন্যান্য কারণ তেলের দামকে উল্টো পথে পরিচালিত করছে বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রে ফের সুদহার বৃদ্ধির ইঙ্গিতের বিষয়ে ব্রোকারেজ সংস্থা ওএএনডিএর কর্মকর্তা ক্রেগ আর্লাম বলেন, ঋণ পাওয়া কঠিন হলে তা বছরের বাকি সময়ে আর্থিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলবে, তার ওপরে নির্ভর করবে তেলের গতিবিধি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ