দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে আর রক্ষা পেলেন না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে অভিশংসিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টের তাকে নিয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো অভিসংশনের লক্ষ্যে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। এতে ৩০০ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অপরদিকে ৮৫ জন বিপক্ষে, তিনজন ভোটদানে বিরত এবং চারটি ভোট বাতিল হয়।
দেশটিতে অভিশংসন প্রস্তাব পাস করতে প্রয়োজন ছিল ২০০ ভোট। অনাস্থা ভোটে হারার পর ইউনকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে দ্রুতই বরখাস্ত করা হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিশংসিত হওয়ায় ইওল কর্তৃত্ব হারাবেন, কিন্তু সাংবিধানিক আদালত তাকে অপসারণ বা পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। আদালত ইওলকে অপসারণ করলে বা তিনি পদত্যাগ করলে ৬০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হতে হবে।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। তবে ইউনের ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়। জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন-শিক ওইদিন জানান, মোট ১৯৫ ভোট পড়েছে। ভোট দেয়া সদস্যের সংখ্যা মোট সদস্যের প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর দেশে আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন ইউন। তবে বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে পিছু হটেন ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির এ নেতা। গত ১২ ডিসেম্বর টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইউন বলেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। ইউন আরও বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে তদন্ত বা অভিশংসন যাই আনা হোক আমি দৃঢ় থাকব। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।
তবে শেষ রক্ষা আর হলো না তার।