স্টাফ রিপোর্টার- কোনো নিখোঁজ মানুষের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হলে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। এছাড়াও জঙ্গিবাদ হঠাৎ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদরদপ্তরে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সংঘাত বাড়াতে কিছু মানুষ কাজ করবে, তাদের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন ও আইনগতভাবে মানুষকে সেবা দিতে অধস্তন পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আমাদের আরও সতর্ক অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
এ সময় তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, চুরি মামলা, ছিনতাই মামলা, মামলার তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মূলতবি মামলা নিস্পত্তির ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতেই গত আগস্ট মাসের খাতওয়ারি অপরাধ চিত্র বা অপরাধ বিবরণী পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা তথা অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার। এতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।